Kalyan Banerjee: ‘৭০০-র বেশি মৃত্যু হয়েছে কৃষক আন্দোলনে, কেন্দ্র ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিক’, দাবি কল্যাণের
Kalyan Banerjee: 'কৃষক আন্দোলনে ৭০০ বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।' এমনই দাবি জানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee)।
হুগলি: ‘কৃষক আন্দোলনে ৭০০ বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’ এমনই দাবি জানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee)। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, এই আইন প্রত্যাহারের পর সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করলেও এখনই আন্দোলন থেকে সরছে না কৃষকরা। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ ছুড়লেন শ্রীরামপুর সাংসদ। শনিবার এই আইনজীবী-সাংসদের কথায়, “কৃষকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ২৯ তারিখ সাংসদ খুলছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ওই দিনই বিল প্রত্যাহার করা। রিপিল করতেই হবে। কারণ, এই ঘোষণার কোনও আইনি বৈধতাই নেই।”
তৃণমূল সাংসদ আরও যোগ করেন, “সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর জন্য ৭০০ -র বেশি লোক মারা গেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা আছে তা নরেন্দ্র মোদী নিজে এফিডেভিড করে ক্ষমা চান। সেখানে বলুন যে, তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ৭০০ লোক মারা গেছে। তাঁদের ক্ষতিপূরন দিতে হবে। সেই কথা তাঁকে বলতে হবে।”
কল্যাণের কটাক্ষ, “ওঁনাকে বিশ্বাস করা কঠিন। এই তো ক্ষমা চাওয়া শুরু হল। এতো তিনটে কৃষি বিল। এর পর পেগাসাসে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাইতে চাইতেই নরেন্দ্র মোদী কে ২০২৪ পর্যন্ত যেতে হবে।”
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৯ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেখানে আকস্মিকভাবেই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যে বিরোধীদের প্রচারে অন্যতম বড় হাতিয়ার হতে পারে, সেই সম্ভাবনা থাকার পরেও কৃষক স্বার্থের কথা ভেবে ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিতে পিছপা হননি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে মোদীর এই সিদ্ধান্তের মধ্যেই এক ‘যোগ্য রাষ্ট্রনায়ককে’ খুঁজে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী ক্যাবিনেটের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। নিজের বক্তৃতাতেই প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় কৃষকদের পক্ষে এবং কৃষক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে সবরকমের সাহায্য করতে সরকার প্রস্তুত।” যদিও বিরোধীদের দাবি, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবে ভোটের আগে কৃষি আইন বাতিল করে বিশাল কৃষক সম্প্রদায়কে নিজেদের কাছে আনতে চাইছে বিজেপি।