Trinamool: ‘রাজনীতির যোগ নেই’, আহত অন্তঃসত্ত্বাকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর

Trinamool:পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে, আহতকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে কাউন্সিলর।

Trinamool: 'রাজনীতির যোগ নেই', আহত অন্তঃসত্ত্বাকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 4:56 PM

হুগলি: বিজেপির বুথ সভাপতির অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী বিরুদ্ধে। বুথ সভাপতির বৃদ্ধ বাবার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এমতাবস্থায় এবার চুঁচুড়া হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখতে গিয়ে বিজেপি মহিলা কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাঁশবেড়িয়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর। 

সূত্রের খবর, এদিন চুঁচুড়া হাসপাতালে মিনতি ধর তাঁর অনুগামীদের নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখতে যান। সেই সময় হুগলি জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদারও মহিলাকেও দেখতে যান। বিজেপির মহিলা কর্মীরা মিনতি দেবীকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে জানা যায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন। এদিকে গতকালের ঘটনার পর কাউন্সিলর মিনতি ধর বলেন, “কল নিয়ে বিবাদ থেকে এই ঘটনা হয়েছে। যা হয়েছে তা সমর্থন যোগ্য নয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত তথা রাখাল দাস সহ আরও দুজন কে আটক করেছে মগড়া থানার পুলিশ। কিন্তু, এরই মধ্যে মিনতি দেবীকে ঘিরে বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে।

এদিন তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর বলেন, “এটা একদমই পাড়ার ঘটনা। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। গতকাল যখন ঘটনা ঘটে তখন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। পরবর্তীতে ঘটনার কথা শুনে আমি আক্রান্তদের বাড়ি যাই। আজ অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে দেখতে আসি।” তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই খারাপ। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা প্রতিবেশীদের বিবাদ। এর মধ্যে রাজনীতি আনতে চাইছে বিজেপি। কাউন্সিলর তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসাবে মহিলাকে দেখতে গিয়েছেন। এতে অন্যায় নেই।” তবে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রাখাল দাস ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি দাস ও তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ বলে কালই শোনা গিয়েছিল। এই দাবি করেছিলেন আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলার বাবা জগন্নাথ দাস। যা নিয়েও বিস্তর শোরগোল চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জগন্নাথ বাবুর সাফ দাবি তিনি বিজেপি করেন বলেই তাঁর উপর আক্রমণ চালিয়েছেন তৃণমূলের রাখাল। বিজেপি হুগলি জেলা সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পেটে লাথি মেরেছে তৃণমূল কর্মীরা। কাউন্সিলর বলছেন মারামারি হয়নি। এ কথা শুনেই বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।”