ভিডিয়ো কল রিসিভ করতেই ভেসে উঠল মহিলার নগ্ন ছবি, থানায় TMC বিধায়ক
TMC: চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।
হুগলি: ভিডিয়ো কল (Video Call) ধরতেই ফোনে ভেসে উঠল নগ্ন ছবি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। মুহূর্তেই ফোনে আসতে থাকে ব্ল্যাকমেলারদের কল। চাওয়া হচ্ছে টাকা। টাকা না দিলেই ভিডিয়ো ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। এ ঘটনা নতুন নয়। বর্তমানে ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্তের এ যুগে প্রায়শই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। এবার চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে ঘটল এই ঘটনা। সূত্রের খবর, গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের মোবাইলে একটি ভিডিয়ো কল আসে। কল রিসিভ করতেই মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এক মহিলার নগ্ন ছবি। সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক কল কেটে দেন। কিন্তু, পর পর তিনবার কল আসে একই নম্বর থেকে। যদিও ফোন রিসিভ না করে ততক্ষণে ওই নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন তিনি।
তবে এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, পরের দিন দিল্লি পুলিশের এক অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল করেন বলে অভিযোগ। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া আটকাতে তাঁর কাছ থেকে টাকাও চান তিনি। বিধায়ক তাঁকে বলেন হোয়াটসঅ্যাপ নয় ভয়েস কল করতে। যদিও তা না করে ওই ব্যক্তি মেসেজে ফের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে ভিডিয়ো কলের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ওই ব্যক্তি যে আদপে পুলিশ নন তা ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন বিধায়ক। সাফ জানিয়ে দেন ব্ল্যাকমেল করে লাভ নেই। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাবেন।
এরপরই চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান বিধায়ক অসিত মজুমদার। একইসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা ঘটনার কথা খুলে জানান তিনি। তাঁর সাফ দাবি, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেছিল প্রতারকরা। এটা বুঝতে পেরেই তিনি সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে তাঁর এও দাবি, তাঁর ফোনে অনেকেই ভিডিও কল করে এলাকার অভাব-অভিযোগের কথা জানান। সেকারণেই অচেনা নম্বর থেকে আসা ভিডিয়ো কল দেখে তা তিনি রিসিভ করেছিলেন। তবে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এরপর থেকে আরও সতর্ক থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অসিতবাবু বলেন, “একটা ছেলে দিল্লি পুলিশের নাম করে এই প্রতারণা করেছে। এর থেকে সমাজকে বাঁচাতে গেলে সংবাদমাধ্যম একমাত্র মাধ্যম। আমরা বিচার ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখি। সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে।”