Hooghly: এগরোল খেতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না প্রীতম-সুরেশের, শোকে পাথর পান্ডুয়া
Hooghly: স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন্না ষষ্টী পুকুরের কাছে জিটি রোডে একটি স্করপিও গাড়ি বাইকটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। গাড়িটি পান্ডুয়ার দিকে যাচ্ছিল। তবে সেটির এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পান্ডুয়া: এগরোল খেতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না দুই বন্ধুর। শোকে পাথার গোটা গ্রাম। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হুগলির পান্ডুয়ায়। সিমলাগড়ের তালবোনা কলোনির বাসিন্দা সুরেশ রায় (১৭) ও প্রীতম মণ্ডল (১৭)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে দু’জনে এগরোল খেতে যায়। তালবোনা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে পান্ডুয়া বাজারে চলে যায় তাঁরা। বাইক চালাচ্ছিল প্রীতম,আর পিছনে বসে ছিল সুরেশ। কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। পান্ডুয়ায় যাওয়ার পর তাঁরা এগরোল কিনেও খায়। তারপরই বাড়ি ফেরার জন্য সিমলাগোড়ের পথ ধরে। কিন্তু, পথেই যে তাঁদের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে কে জানত!
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন্না ষষ্টী পুকুরের কাছে জিটি রোডে একটি স্করপিও গাড়ি বাইকটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। গাড়িটি পান্ডুয়ার দিকে যাচ্ছিল। তবে সেটির এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থা সুরেশ ও প্রীতমকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত দুই ছাত্রই একাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল। সুরেশের বাবা ববি রায় গাড়ি চালিয়ে সংসারের ঘানি টানেন। অন্যদিকে প্রীতমের বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল ট্রেনে হকারি করেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে বিহ্বল হয়ে গিয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরাই। সকলের মুখে একটাই কথা, ঘাতক গাড়ির চালকের শাস্তি চাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ।