Uttarpara: ‘মৃত্যুর অপেক্ষা করছি…’, গৃহকর্তার মৃত্যুর পর থেকে ‘গৃহবন্দি’ স্ত্রী-পুত্র-কন্যা
Uttarpara: শ্রীরামপুরের বাসিন্দা আত্মীয় বৈষ্ণবদাস মুখোপাধ্যায় জানান, এই পরিবারের সঙ্গে প্রায়ই কথাবার্তা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর শেষবার কথা হয়। গগন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু পরিবারকে খুবই নাড়া দিয়েছিল বলে জানান তিনি। দু'-তিনদিন আগে জানান, তাঁদের অবস্থা ভাল নয়। এরপরই গতকাল বৈষ্ণবদাস এখানে আসেন। এসে দেখেন খুবই খারাপ অবস্থা পরিবারের সদস্যদের। এরপরই তিনি ডাক্তার দেখানোর উদ্যোগ নেবেন বলে ঠিক করেন।
হুগলি: পারিবারিক বন্ধন কারও কারও ক্ষেত্রে এতটাই গভীর হয়, ছিন্ন হলে মনে হয় গোটা পৃথিবী খাঁ খাঁ করছে। সময়ের নিয়মে অবশ্য সে পরিস্থিতি সামলে নেন সিংহভাগ মানুষই। তবে যাঁরা সামলাতে পারেন না কেউ কেউ বেছে নেন কঠিন পথ। যেমন বেছে নিয়েছেন উত্তরপাড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের তিন সদস্য। এক আত্মীয়কে ফোনে বলেছিলেন, ‘মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি’। এরপর দরজা ভেঙে যখন মা, ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করা হয়, দু’জন অচৈতন্য।
উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা গগনবরণ মুখোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই মারা যান। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ছিলেন তিনি। এদিকে তাঁর মৃত্যুর পরই স্ত্রী শ্যামলীদেবী (৮০), ছেলে সৌরভ (৫৮) ও মেয়ে চুমকি (৫২) নিজেদের কার্যত গৃহবন্দি করে নেন।
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা আত্মীয় বৈষ্ণবদাস মুখোপাধ্যায় জানান, এই পরিবারের সঙ্গে প্রায়ই কথাবার্তা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর শেষবার কথা হয়। গগন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু পরিবারকে খুবই নাড়া দিয়েছিল বলে জানান তিনি। দু’-তিনদিন আগে জানান, তাঁদের অবস্থা ভাল নয়। এরপরই গতকাল বৈষ্ণবদাস এখানে আসেন। এসে দেখেন খুবই খারাপ অবস্থা পরিবারের সদস্যদের। এরপরই তিনি ডাক্তার দেখানোর উদ্যোগ নেবেন বলে ঠিক করেন।
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, “গগন ভিলা বলে একটি বাড়িতে একটি পরিবার থাকে। বাড়ির তিন সদস্য কয়েকদিন ধরে দরজা বন্ধ করে ছিলেন। তাঁদের এক আত্মীয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান, কেউ তাঁকে ফোন করে বলেছে আমরা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি। আমাকে কাউন্সিলর জানাতেই আমিও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে দরজা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রাণে বাঁচানোই আমাদের প্রথম কাজ। খুবই পরিচিত পরিবার ওরা। মা, ছেলে, মেয়েকে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জন আত্মীয়ও এসেছেন।”