Ayan Shil: বিকাশ ভবনে সাদা খাতায় সই, ইন্টারভিউও করিয়েছিলেন অয়ন, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বলাগড়ের বাসুদেবের
Hooghly: বাসুদেব ঘোষের কথায়, এলাকারই একজন তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরুদার বাড়ি। গুরুদার হাত ধরেই অয়ন অবধি পৌঁছন তিনি।
হুগলি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। শনিবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। অয়ন গ্রেফতার হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই চাকরি প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন অয়ন, এমনটাই অভিযোগ সামনে আসছে। বলাগড়ের বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ। বাসুদেবের চাঞ্চল্যকর দাবি, প্রতারিতদের ভরসা পেতে বিকাশ ভবনে চাকরির পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। বলাগড়ের ইনছুড়ার বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ। তাঁর দাবি, ছেলে ও মেয়ের স্কুলে চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অয়ন শীলকে। কিন্তু সে চাকরি হয়নি। এদিকে ততদিনে চুঁচুড়া ছেড়ে সল্টলেকে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন অয়নও। বাসুদেব ঘোষের কথায়, “আমরা সল্টলেকেও যাই। নিরাপত্তারক্ষী ঢুকতে দেননি।”
সেই কথার রেশ ধরেই বাসুদেব বলেন, “আমাদের বিকাশ ভবনেও নিয়ে গিয়েছিল। সাদা খাতার উপর সই করে ইন্টারভিউও করিয়েছিল। কিন্তু তারপরও কিছু হয়নি। আমরা অনেকেই টাকা দিয়েছিলাম। সকলকে বলেছিল ৫ লক্ষ টাকা দিলেই চাকরি। আমি নগদ ১০ লক্ষ টাকা দিই।”
বাসুদেব ঘোষের কথায়, এলাকারই একজন তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরুদার বাড়ি। গুরুদার হাত ধরেই অয়ন অবধি পৌঁছন তিনি। এই গুরুদার কথা এর আগেও বলেছিলেন দেবানন্দপুরের বাসিন্দা দুলাল দাস। তিনিও তাঁর ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন শ্রীকুমারবাবুকে। তিনিই সেই টাকা পৌঁছে দিতেন অয়নকে। কার্যত দালালির কাজটা করতেন তিনি।
যদিও শ্রীকুমারবাবুর এক প্রতিবেশী জানান, তিনি ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন এই চক্রের। সেই ফাঁদে পা পড়ার মূল্য চোকাতে হয়েছিল প্রাণ দিয়ে। শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলের রহস্যমৃত্যু হয়। ওই প্রতিবেশী স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বাপ-ব্যাটার দেহ উদ্ধার করেছিল। একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছিল। আমি সেই নোট দেখেছিলাম। সেখানে গুরুদা পরিষ্কার বলে গিয়েছিলেন ২ কোটি টাকা অয়ন শীল নিয়েছে। যখন গুরুদা দেখেছিলেন অয়ন প্রতারণা করেছে, একাধিকবার উনি বলেছিলেন অয়নকে টাকাটা ফিরিয়ে দিক। চাকরি দিতে হবে না। একবার গুরুদা ওর বাড়িতে গিয়েছিল। নানা চাপে ছেলেকে মেরে নিজেও আত্মহত্যা করেন গুরুদা। প্রতারণার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেননি।”