Serampore Murder: সম্পত্তি হাতাতে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন, গ্রেফতার ‘গুণধর ভাই’ সহ ২

Hooghly: ঘটনার সূত্রপাত। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ মে। দাসপাড়ারই একটি পুকুর থেকে গৌতম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

Serampore Murder: সম্পত্তি হাতাতে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন, গ্রেফতার 'গুণধর ভাই' সহ ২
নিজের দাদাকেই খুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 4:59 PM

শ্রীরামপুর: ঠিক যেন সিনেমা। সম্পত্তি হাতাতে নিজেরই দাদাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত।

হুগলির শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানেই দাসপাড়ার বাসিন্দা গৌতম দাস (৫৮)। গৌতম বাবুরা পাঁচ ভাই এক বোন। এর মধ্যে বছর দু’য়েক আগে এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বাকি চার ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল দাসেরই বিয়ে হয়েছে। উজ্জ্বল আলাদা বাড়িতে থাকেন। বাকি তিন ভাই বোন ভগ্নিপতি একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি রোডের পাশে বহু টাকার জমি ও সম্পত্তির মালিক তাঁরা। তিন ভাই অবিবাহিত। তাঁর মধ্যে পঙ্কজ আবার মানসিক ভাবে অসুস্থ। এরই সুযোগ নিয়ে সম্পত্তির লোভে দাদাকে খুনের ছক করে ভাই উজ্জ্বল।

কী ঘটেছে?

ঘটনার সূত্রপাত। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ মে। দাসপাড়ারই একটি পুকুর থেকে গৌতম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা দেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পিয়ারপুর ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের ছোটো ভাই উৎপল একটি অভিযোগ দায়ের করেন শ্রীরামপুর থানায়। পুলিশ তদন্তে নামে।

তদন্তে নেমেই পুলিশ ওই এলাকার কৃষ্ণ দাস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। মাঠপাড়ার বছর ত্রিশের কৃষ্ণ আগে থেকেই পুলিশের নজরে ছিল। কারণ অসামাজিক কাজের সঙ্গে সে এর আগে থেকেই যুক্ত ছিল। কৃষ্ণকে জেরা করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কৃ্ষ্ণ পুলিশি জেরায় স্বীকার করে এই ঘটনায় জড়িত গৌতম বাবুর ভাই উজ্জ্বল। দু’জনকে জেরা করে খুন ও খুনের কারণ জানতে পারে পুলিশ। উজ্জ্বল স্বীকার করে সম্পত্তির লোভে সে কৃষ্ণকে ভারা করেছে। জানা গিয়েছে, পঁচিশ হাজার টাকায় রফা হয় তাদের মধ্যে।অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা দেয় কৃষ্ণকে।

ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার রাত বারোটা নাগাদ প্রৌঢ় গৌতমকে পুকুরপারে লাথি-ঘুষি মেরে গলা টিপে খুন করে পুকুরে ফেলে দেয় কৃষ্ণ। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগে দু’টো জমি উজ্জ্বল তার ভাইদের না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। তা নিয়ে অশান্তি ছিল পরিবারে। দাদাকে মেরে ফেললে তার সুবিধা হবে মনে করেই এই পরিকল্পনা করে উজ্জ্বল। গোটা পরিকল্পনায় উজ্জ্বলের ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলও সামিল আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। আজ ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিসি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ বলেন, ‘একটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতের ভাই এর অভিযোগে তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আরেক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। সম্পত্তি নিয়ে গন্ডোগোলের জেরেই খুন।’