Agnimitra Paul: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কে? উনি কি সুপার CM?’ অগ্নিমিত্রার ‘অগ্নিবাণ’
Howrah: এ দিন, তিনি আরও বলেন, 'আমারও ইচ্ছা হয় প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে লোকেদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে গরুচোর, কয়লাচোরদের উপর ইট বৃষ্টি করাতে। কিন্তু আমাদের দল তা অনুমোদন করে না।'
হাওড়া: বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র চেহারা নেন হাওড়া ও কলকাতা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তির জেরে আহত হন বহু বিজেপি কর্মী ও পুলিশ কর্মী।গুরুতর জখম হন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বেরিয়ে এসে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।’ অভিষেকের সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কে? তিনি কি সুপার সিএম হতে চাইছেন?’
বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে আসেন অগ্নিমিত্রা। বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি সুপার পুলিশ মন্ত্রী হতে চাইছেন ? সিনেমার মতো ডায়লগ না দিয়ে বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর একবার গুলি করে দেখুন না!’
এ দিন, তিনি আরও বলেন, ‘আমারও ইচ্ছা হয় প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে লোকেদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে গরুচোর, কয়লাচোরদের উপর ইট বৃষ্টি করাতে। কিন্তু আমাদের দল তা অনুমোদন করে না।’
গতকাল অভিষেকের প্রতিক্রিয়া
কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে দেখে আসার পর সাংবাদিকদের সামনে অভিষেক বলেন, ‘পুলিশের কাছে সহজ উপায় ছিল। পুলিশ তো কাল পারত, গুলি চালাতে। এটাই পরিবর্তন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ধৈর্য, সংবেদনশীলতা, সংযমের পরিচয় দিয়েছে।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘দেবজিৎ বাবুকে বললাম, আমি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনি কিছু করেননি। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শ্যুট করতাম।’
আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অভিষেকের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি জানান, ‘‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দর বেশি। উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? তাহলে গুলি করার কথা বলেন কীভাবে?’ এরপর পুলিশে উদ্দেশে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই পুলিশ ভবানীপুর থানায় মেরেছিল কাকে? তখন টেবিলের তলায়, আলমারির পিছনে লুকিয়ে পরে। সিএএ-নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। তখন টানা জাতীয় সড়কে লুঙ্গিড্যান্স দেখলাম আমরা। রেল-স্টেশন বাস জ্বালানো হল। এই পুলিশ কোথায় ছিল? আপনাদের দম জানা আছে। আজ পর্যন্ত গুলি চালিয়েছেন কোথাও? এতো লুঠপাঠ হয়েছে কারুর টিকির নাগাল পেয়েছেন? গুলি চালাবেন? এতো হিম্মত আছে? ওইসব কালীঘাটে ডায়লগ দেবেন। বাইরে আসবেন না। অনেক কিছু হয়ে যাবে।’