Howrah GunFire: দলবদলের কোন্দল, হাওড়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে এলোপাথাড়ি গুলি, সিসিটিভিতে রোমহর্ষক দৃশ্য

Howrah GunFire: জানা যাচ্ছে, লিচুবাগানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী হলেন গুড্ডু খান। তিনি ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

Howrah GunFire: দলবদলের কোন্দল, হাওড়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে এলোপাথাড়ি গুলি, সিসিটিভিতে রোমহর্ষক দৃশ্য
হাওড়ায় বেপরোয়া গুলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 1:45 PM

হাওড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাওড়ায় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ। দলবদলের কোন্দলে রণক্ষেত্র হাওড়া। নাজিরগঞ্জে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। হাতে বন্দুক নিয়ে চলল রীতিমতো দাপাদাপি। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর ছবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাজিরগঞ্জের লিচুবাগান এলাকায় শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ তৃণমূলের মহিলা যুব সভাপতির বাড়িতে চড়াও হন বেশ কয়েকজন যুবক। তাদের অনেকের হাতেই বন্দুক ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে গুড্ডু খান নামে এলাকারই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। বাড়ির গেটে লাথি মারতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রতিরোধ করতে গেলে আক্রান্ত হতে দেখা যায় তাঁদেরকেও। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে তাঁদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। রবিবার সকালেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গুড্ডু খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, এই এলাকাতেই তৃণমূল নেতা ওয়াইজুর খানকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তারপর ফের ওয়াইজুর খানের পরিবারের ওপর আক্রমণের ঘটনায় নতুন করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগ, রীতিমতো বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করেছিল গুড্ডুর লোকজন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও।


জানা যাচ্ছে, লিচুবাগানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী হলেন গুড্ডু খান। তিনি ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর আবার তিনি তৃণমূলে ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওয়াইজুর খানের পরিবার তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই কারণেই আবারও এই হামলা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গুড্ডু খান যখন তৃণমূলে ছিলেন, এলাকায় তাঁর ব্যাপক দাপট ছিল। বিজেপিতে যাওয়ার পর তা কিছুটা কমে যায়। ফের দাপট দেখিয়েই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি। এভাবে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্য তাণ্ডবে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যের দাবি, “আমাদের উদ্দেশে গালি দিচ্ছিল। বন্দুক হাতে তাড়া করছিল। আমি দৌড়ে ঘরে ঢুকে যাই। তখনই লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘরে ঢুকে যাওয়ায় গেটে লাথি মারে। আমরা কয়েকজন ছিলাম, দু-তিন জন ঢুকে গিয়েছিলাম ঘরে, গেট বন্ধ করে দিই। একবার বাইরে পড়ে যায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ওরা। এলাকার অনেকের বাড়িতে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। মেয়েদেরকেও বাজেভাবে মারধর করে।” অভিযোগের ভিত্তিতে গুড্ডু খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। TV9 বাংলার প্রতিনিধি তাঁর স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু খান সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দলে ফেরার দরখাস্ত জমা করেছিলেন। তবে দল এখনও পর্যন্ত তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি। সাঁকরাইল থানার পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।