Howrah : টাকার লোভে কোলের সন্তান বিক্রির অভিযোগ, ‘এ কেমন মা-বাবা?’, প্রশ্ন প্রতিবেশীদের

Howrah : অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে ২২ সালের মধ্যে নিজেদের এক ছেলে ও এক মেয়েকে বিক্রি করেছেন ওই দম্পতি।

Howrah : টাকার লোভে কোলের সন্তান বিক্রির অভিযোগ, ‘এ কেমন মা-বাবা?’, প্রশ্ন প্রতিবেশীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 9:00 PM

হাওড়া: নিজেদের সন্তানদের বিক্রির অভিযোগে এক দম্পতি সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ (Police)। ধৃতদের নাম রত্না বর, বিশ্বজিৎ বর এবং শ্যামলী নস্কর। ধৃতের মধ্যে রত্না এবং বিশ্বজিৎ স্বামী-স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ এবং রত্নার বাড়ি হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের উলা গ্রামে। খাতায় কলমে তাঁদের চার সন্তান। অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে ২২ সালের মধ্যে নিজেদের এক ছেলে ও এক মেয়েকে বিক্রি করেছেন এই দম্পতি। সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ সেভাবে কোনওদিনই কোনও কাজকর্ম করতেন না। স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন বাপের বাড়িতে। সেখান থেকেই চলত এই শিশু বিক্রির কাজ। 

সূত্রের খবর, ২০২০ সালে লকডাউনের সময় তাঁদের কোল আলো করে আসে এক কন্যা সন্তান। অভিযোগ, তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় উলুবেড়িয়ায়। মাস দেড়েক আগে তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। সেই ছেলেকেও নলপুরে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎ-রত্না তাঁদের আরও দুই শিশুকেও সম্প্রতি বিক্রির বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, সে কথা জানতে পেরে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে তাঁদের দুজনকে গ্রেফতার করে। টাকার লোভেই তাঁরা এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের জেরা করে শ্যামলী নস্কর নামে এক মহিলার খোঁজ পান তদন্তকারীরা। শিশু বিক্রির চক্রের সঙ্গে তিনিও যুক্ত বলে অভিযোগ। তাঁকে নলপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অফ চিলড্রেন অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রতিবেশী হরেন্দ্রনাথ বারিক বলেন, “ওরা খুব একটা কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না। মোট চারটে বাচ্চা ছিল। তারমধ্যে বিক্রির পর এখন দুজন বাড়িতে ছিল। যে কাজ ওরা করেছে তা নিন্দনীয়।” আর এক প্রতিবেশী সন্ধ্যারানি পট্টনায়ক বলেন, “সাধারণত মায়েরা বলে জীবন দেব, তবু বাচ্চা দেব না। কিন্তু এ কেমন মা আমরা বুঝতে পারছি না। কেউ বাচ্চাদের নিয়ে ব্যবসা করতে পারে বলে ভাবতে পারি না। ওদের সঙ্গে পাড়ার কারও সম্পর্ক ছিল না। ওদের মা-বাবা যেমন তেমনই মেয়ে জামাই। নিজেরাই কার্যত একঘরে হয়ে থাকত এলাকায়।”