Howrah Death: রোজের মতোই কাজে এসেছিলেন, ভোররাতে সহকর্মীকে চরম অবস্থায় দেখে হতবাক সকলে
Howrah: হাওড়ার ঘটনা। মৃতের নাম চন্দন নস্কর (২০)। চন্দন সারেঙ্গার বাসিন্দা। নিত্যদিনের মতোই হাওড়ার জালান কমপ্লেক্সের হোশিয়ারি কারখানায় কাজে এসেছিলেন।
হাওড়া: মর্মান্তিক ঘটনা। কাজের তাগিদে এসেছিলেন। কিন্তু তার আগেই এমন ঘটে যাবে কেউ ভাবতেও হয়ত পারেনি। ভোররাতে সহকর্মীকে এমন চরম অবস্থায় দেখবেন কেউ ঠাউর করেননি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ঠিকা শ্রমিকের। ঘটনায় পরিজন থেকে শুরু করে সহকর্মীরা প্রত্যেকে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
হাওড়ার ঘটনা। মৃতের নাম চন্দন নস্কর (২০)। চন্দন সারেঙ্গার বাসিন্দা। নিত্যদিনের মতোই হাওড়ার জালান কমপ্লেক্সের হোশিয়ারি কারখানায় কাজে এসেছিলেন। এরপর ভোররাতে সেই কাজ চলাকালীন তিন নম্বর গেটে আচমকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। বাকি সহকর্মীরা তা দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষকে জানান। তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনা শোনার পরও কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। এরপর বাড়ির সদস্যদের খবর দিলে তাঁরা চলে আসেন ওই এলাকায়। পরে মৃতদেহ রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
এই ঘটনায় মৃতের জামাইবাবু বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ খবর পাই। একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপনারা চলে আসুন। আমাদের পাড়া থেকে যারা কাজ করে তারা ফোন করে বলল ভাই তাড়াতাড়ি চলে আয়। তোর শালা মার গিয়েছে। আমরা হন্তদন্ত হয়ে এখানে এলাম। আসার পর দেখি দেহটি পড়ে রয়েছে। কারোর কোনও দায়িত্ব নেই। কোনও চিকিৎসক নেই। এরপর যখন আমরা ঢুকি ওরা বলল মৃতদেহ নিয়ে চলে যাও। অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রয়েছে। আমরা আগে হাত দিইনি। পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে। আমরা ম্যানেজারের কাছে গিয়ে চিঠি চাই। কারণ তার কাছে কাজ করাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে। সাদা কাগজে লেখা আমি বলেছিলাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু বাকিরা জানাচ্ছে এমন কেউ কিছুই বলেনি।”
অন্যদিকে, চন্দনের সঙ্গে কাজ করা আর এক শ্রমিক বলেন, “ম্যানেজমেন্ট কিছুই করেনি। ছেলেটা তখন অবধিও বেঁচে ছিল। একবার ডাক্তার ডাকতে পারত। কিন্তু তাও করেনি। যদি ব্যবস্থা নিত ছেলেটা বেঁচে যেত। আমরা প্রত্যেকে পেটের জ্বালায় এখানে এসেছি। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের স্যাররা বলছে এ ঠিকা শ্রমিক একে বের করে দে। আমরা এতবার বললাম। তবুও আমাদের কথা ওরা শুনল না। বলল ম্যানেজমেন্ট বুঝবে। কিন্তু কিছুই হল না।”