Trekkers In Uttarakhand: ট্রেকিংয়ে গিয়ে এখনও নিখোঁজ বাগনানের দুই অভিযাত্রী

Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডের হরশিল পড়ে গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে। গঙ্গোত্রী থেকে ২২ কিলোমিটার আগে ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট একটা গ্রাম।

Trekkers In Uttarakhand: ট্রেকিংয়ে গিয়ে এখনও নিখোঁজ বাগনানের দুই অভিযাত্রী
খারাপ আবহাওয়া ও তুষারধসের তাণ্ডব উত্তরাখণ্ডে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 11:43 PM

উত্তরাখণ্ড: খারাপ আবহাওয়া ও তুষারধসের তাণ্ডব উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু বাঙালি ট্রেকারদের। এখনও খোঁজ মেলেনি একাধিক ট্রেকারের। এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডে গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে যান টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। ঘুরে দেখেন উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট গ্রাম হরশিল।

উত্তরাখণ্ডের হরশিল পড়ে গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে। গঙ্গোত্রী থেকে ২২ কিলোমিটার আগে ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট একটা গ্রাম। এই গ্রাম থেকেই হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেকিং রুটে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। এই গ্রাম থেকে বাগনান এর তিনজন-সহ মোট এগারো জনের একটি দল লামখাগা পাসের উদ্দেশে কয়েকদিন আগে রওনা হয়েছিল।

কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গত কয়েক দিন ধরে এই অভিযাত্রী দলের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আবহাওয়া খারাপ থাকা সত্ত্বেও হেলিকপ্টারের সাহায্যে এই অভিযাত্রী দলের খোঁজ চালানো হচ্ছিল। অন্য দিকে পায়ে হেঁটে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গত শুক্রবার এই অভিযাত্রী দলের এক মহিলা-সহ সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়।

দুই অভিযাত্রী এখনও নিখোঁজ, দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত দু’জনের মধ্যে একজন এই অভিযাত্রী দলের গাইড, অপরজন এই অভিযাত্রী দলের সদস্য। উত্তরকাশী প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও নিখোঁজ দু’জনের খোঁজে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও হেলিকপ্টারের সাহায্যে এবং পায়ে হেঁটে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা।

বাগনানের এই দলটি যে হোটেলে উঠেছিল নাম মধুবন। সেই হোটেলের একটা কর্মী জানালেন, গাইড এসে বুকিং করেছিলেন ঘর। ছ’টি ঘর বুক করেছিলেন ওই গাইড। সঙ্গে মহিলা ছিলেন। তবে তিনি জায়গার অভাবে অন্য হোটেলে ওঠেন। সকালে উঠে প্রাতঃরাশ সেরে তাঁরা বেরিয়ে পড়েন লামখাগা পাসের উদ্দেশে।

নৈনিতাল থেকে সবে ফিরেছেন উত্তরপাড়ার ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। নবমীর দিন উত্তরপাড়ার মাখলা থেকে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের উদ্দেশে রওনা দেন স্নেহাশিস ঘোষ ও তাঁর পরিবার। মোট ছ’জনের একটি দল করে নৈনিতালের পথে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। স্নেহাশিসবাবু ছাড়াও সে দলে ছিলেন স্ত্রী মমি ঘোষ, মেয়ে তানিয়া ঘোষ ও জামাই সাওন ঘোষ। গিয়েছিলেন সাওনের বাবা বিপ্লব ঘোষ ও মা তপতী ঘোষও।

স্নেহাশিস ঘোষ জানান ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। বলেন, “চোখের সামনে একের পর এক পাহাড় ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। গাড়ি পড়ে যাচ্ছে খাদে। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন। অঝোরে বৃষ্টি। এমন বর্ষণ কখনও দেখিনি। পাহাড়ের প্রায় সর্বত্রই ধস নামছে। কেউ নড়তে চড়তে পারছেন না। যে যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখানেই আটকে পড়েছেন। আমরা কোনও মতে একটা হোটেলে গিয়ে উঠি। আমার বুকিং ডেট থেকে আরও চার পাঁচদিন বেশি থাকি সেখানে। এক প্রকার জোর করেই সেখানে থাকি আমরা। একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলাম। বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল।” কিন্তু বাগনানের দুই অভিযাত্রীর খোঁজ এখনও মেলেনি। প্রতিকূলতার মধ্যেই চলছে সন্ধান।

আরও পড়ুন: Snatching Case in Burdwan: স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার