Botanical Garden: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছ, উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা

Botanical Garden: বি গার্ডেনের গঙ্গার ধারে পাড়ের যে অংশে ফেন্সিং রয়েছে সেখানেও গঙ্গার ভাঙনে কংক্রিটের ফেন্সিং অনেক জায়গাতেই আগেই গঙ্গার স্রোতে ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে।

Botanical Garden: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছ, উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা
তলিয়ে যাচ্ছে গাছ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 11:20 PM

হাওড়া: গঙ্গার ভাঙন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিবপুর আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden)। ভয়াবহ গঙ্গা (The Ganga) ভাঙনে বহু গাছগাছালি তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করছিলেন। মঙ্গলবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গঙ্গার ধার ঘুরে দেখলেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের নেতৃত্বে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা লঞ্চে করে গঙ্গার ধার বরাবর পরিদর্শন করেন। দেখা যায়, গঙ্গার ধারে বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে অংশে ফেন্সিং করা নেই, সেখানে অনেক গাছই হেলে পড়েছে। গঙ্গার ভাঙনে মাটি ক্ষয়ে গাছের শিকড় বেরিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গঙ্গা সংলগ্ন মাটি। ফলে যে কোনও সময় সেই গাছগুলিও জলের তলায় চলে যাবে। স্থানীয়দের বক্তব্য, বাগানের বহু গাছ ইতিপূর্বেই গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। এমনকী বি গার্ডেনের গঙ্গার ধারে পাড়ের যে অংশে ফেন্সিং রয়েছে সেখানেও গঙ্গার ভাঙনে কংক্রিটের ফেন্সিং অনেক জায়গাতেই আগেই গঙ্গার স্রোতে ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে। সেখানেও ভাঙন ধরে গাছগাছালি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এদিন গঙ্গার ধারে শিবপুর বি ই কলেজ এক নম্বর ঘাটের প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো বাসিন্দা হীরা দেবী বলেন, “এই এক নম্বর ঘাট থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার এলাকার গাছগাছালি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। নিত্যদিন জোয়ার-ভাটার ভাঙন তো রয়েছেই, এছাড়াও বান এলে এই ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। বার বার গার্ডেন কর্তৃপক্ষ ও হাওড়া পুরসভায় জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।”

লঞ্চে করে ভাঙন পরিদর্শনের পর পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে আর ২০ থেকে ২৫ বছর এমন চলতে থাকলে বোটানিক্যাল গার্ডেন পুরোটাই গঙ্গার তলায় চলে যাবে। যেখানে ভাঙন হচ্ছে সেখানে বি গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে কংক্রিটের ফেন্সিং করতে হবে। কর্তৃপক্ষ তা না করলে প্রয়োজনে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হব।”

বোটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং অবশ্য এ প্রসঙ্গে এদিন বলেন, “যে অংশ গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেই এলাকাটি বোটানিক্যাল গার্ডেনের কি না তা খতিয়ে দেখে তার পরই এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।”

গঙ্গার ধারে প্রায় ২৭৩ একর জমির উপর রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। প্রায় আড়াইশো বছর আগে ইংরেজরা এই গার্ডেন তৈরি করে। গঙ্গার ধারে গার্ডেনের কিছুটা এলাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে। এদিন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত ছাড়াও ভাঙন পরিদর্শন করেন পরিবেশ বিজ্ঞানী তথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন আধিকারিক উজ্জ্বল কুমার মুখোপাধ্যায় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যার অধ্যাপক জয়ন্ত বসু।