Train News: ট্রেনেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভুটান-সিকিম, তৎপরতা শুরু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রকে।
আলিপুরদুয়ার: এবার পাহাড়ি পথেও ছুটবে ভারতীয় রেল। সিকিমের সঙ্গে রেল যোগাযোগের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এবার ভুটানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনে। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে এসে এমনই আশার কথা শোনালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা। শুধু তাই নয়, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে আলিপুরদুয়ারে আসেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা। তিনি আলিপুরদুয়ার জংশনে লেডিস হস্টেল উদ্বোধনের পাশাপাশি নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের বিষয়টি জানান। পাশাপাশি সিকিমের সঙ্গেও রেল যোগাযোগ শীঘ্র চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিক।
সিকিমের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে রেললাইন বসানো এবং তিস্তা নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যেই ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা। তিনি বলেন, “গত ২৫ জানুয়ারি ভুটান প্রশাসনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। তারপর গত সপ্তাহে ভুটান থেকে প্রতিনিধিদল এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ভুটানের রেলপথ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। একমাসের মধ্যেই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই যাবতীয় তথ্য রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”
আলিপুরদুয়ার নয়, একেবারে অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেম্ফু পর্যন্ত রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে রেলকর্তা আনসুল গুপ্তা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, “ভুটানের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হবে, সেভাবেই কাজ এগোবে।” অন্যদিকে, সিকিমের সঙ্গে রেলপথ জোড়ার কাজ ২০২৪- এর মার্চের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রেলপথে ভুটান ও সিকিমকে জোড়ার কথা জানানোর পাশাপাশি আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার। তাঁর কথায়, “নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাতে বন্দে ভারত ট্রেন চলে, সে ব্যাপারে একটি প্রস্তাব রেল মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। রেল মন্ত্রকের তরফে সবুজ সিগন্যাল পেলেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”