Aam Aadmi Party: পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে আপ? বঙ্গে জায়গা পাকা করতে তৎপর আম আদমি পার্টি

Jalpaiguri: গত কয়েকমাস ধরে জলপাইগুড়ির জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আম আদমি পার্টির পোস্টার দেখা যাচ্ছিল। তা নিয়েই সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা গেলেও তা জন সমক্ষে আসছিল না। এরপর রবিবার হল যবনিকা পতন।

Aam Aadmi Party: পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে আপ? বঙ্গে জায়গা পাকা করতে তৎপর আম আদমি পার্টি
শুরু আম আদমি পার্টির পোস্টার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 6:27 AM

জলপাইগুড়ি: এক মাস আগে উত্তরবঙ্গে গঠিত হয়েছিল আম আদমি পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। ভার্চুয়াল মিটিং-এর মাধ্যমে সেই জেলা কমিটি গঠন করা হয়। মোট ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। বঙ্গে নিজেদের জায়গা পাকা করতে নেমে পড়েছেন আপের সদস্যরা।

গত কয়েকমাস ধরে জলপাইগুড়ির জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আম আদমি পার্টির পোস্টার দেখা যাচ্ছিল। তা নিয়েই সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা গেলেও তা জন সমক্ষে আসছিল না। এরপর রবিবার হল যবনিকা পতন।

এ দিন দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহরের দুই পরিচিত মুখ আদি বিজেপি কর্মী তথা কিশান মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার এবং প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী জ্যোতি প্রসাদ রায়কে। তাঁরাই জলপাইগুড়ি জেলার সংগঠনের মূল দায়িত্ব পালন করছেন।

গতকাল জলপাইগুড়ির দীপ্তি টকিজে আপের পক্ষ থেকে একটি সমাবেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, জেলার সব কয়টি ব্লক থেকে অনেক সদস্যই এসে সমাবেশে যোগ দেয়।

সমাবেশ সেরে তাঁরা শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা মোড়ে ক্যানোপি খাঁটিয়ে পথ চলতি মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে থাকেন। এ দিন নব্যেন্দুবাবুদের সঙ্গে ছিল একঝাঁক যুবক। যাঁদের আগে কোনওদিন অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল, মিটিং বা জনসভা ইত্যাদিতে দেখা যায়নি। তাঁরাই এবার পথে নেমে মানুষের মধ্যে তাঁদের দলের মতাদর্শ তুলে ধরতে লিফলেট ও প্রচার পুস্তিকা বিলি করল।

এদিনের কর্মসূচি নিয়ে আম আদমী পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা ইনচার্জ নবেন্দু সরকার বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করতে আসিনি। আমরা এসেছি আমাদের মতাদর্শ তুলে ধরে লোকের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে। আমরা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করব।’

অ্যাডভাইজারি ইনচার্জ জ্যোতি প্রসাদ রায় বলেন, ‘আমার ৭১ বছর বয়স। আমার এই দীর্ঘ জীবনের শেষ অধ্যায়ে এসে যা দেখতে পাচ্ছি তাতে আমাদের মতো মানুষদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলির উপর থেকে আস্থা উঠে গিয়েছে। এখানে লক্ষ করলাম ভালভাবে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। তাই এখান থেকেই নতুন করে মানুষের জন্য কাজ করা শুরু করলাম।’

জেলা সম্পাদক উত্তম দাস বলেন, ‘এখানে যোগ দেওয়ার মূল কারণ হল রাজ্যে এখন সব কিছুতেই দুর্নীতি হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলি বেকার যুবক যুবতীদের জন্য অনেক কিছু করবে বলে কিন্তু বাস্তবে আর কিছু করে না। খালি বিভিন্ন ভাতা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে চায়। কিন্তু আমরা কাজ চাই যা এরা দেবে না। আমরা লক্ষ করলাম এই দলটি দিল্লিতে বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করে চলেছে। আমরা চাই এখানেও এই দল ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য কাজ করুক। তাই এখানে যোগ দিলাম।’

অপর দিকে, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, ‘ভারতবর্ষ গনতান্ত্রিক দেশ। এখানে ২০০০ এর বেশি পার্টি আছে। আম আদমি পার্টি সেই রকম একটি পার্টি। আর এই রাজ্যে এস ইউ সি, সিপিআই এম এল এরাও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু মানুষ তাদের সমর্থন করে না। এই পার্টির ক্ষেত্রেও তাই হবে। আসলে এই রাজ্যের মানুষ অন্য রকম। কেজরীবাল সারা জীবন তপস্যা করলেও বাংলায় একটাও বিধানসভা আসন জিততে পারবে না।’