Awas Yojana : ‘মেরে পিঠের চামড়া তুলে নেব’, আশা কর্মীদের হুমকির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Awas Yojana : বিক্ষুব্ধ আশা কর্মীদের দাবি, এরকম চলতে থাকলে তাঁদের এই কাজ থেকে অব্য়াহতি দিতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে অব্যাহতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি: আবাস যোজনার (Awas Yojana) ঘরের তালিকা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে সঠিক পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে লাগানো হয়েছে আশা কর্মীদের (Asha Worker)। অভিযোগ, সেই কাজ করতে গ্রামে গেলে তাতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। এরই প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন তাঁরা। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর তরফ থেকে এদিন এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
আশা কর্মীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা কখনও তাদের সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। কখনও আবার যাদের নাম যাচ্ছে তাঁদেরকে দিয়ে হুমকি দেওয়াচ্ছে। যে এলাকাগুলিতে এ সমস্যা হচ্ছে সেগুলির বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ওই এলাকাগুলিতে প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য নন। অথচ তারপরেও তাঁদের নাম রয়েছে সরকারি তালিকায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই তালিকা প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকেরা। কিন্তু আশা কর্মীদের দিয়ে এই অস্বচ্ছ তালিকা থেকে কেবলমাত্র অযোগ্যদের নাম বিয়োজন সংক্রান্ত কাজ করানো হচ্ছে। এই কাজ করতে গিয়ে অহেতুক হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
তাঁদের দাবি, এরকম চলতে থাকলে তাঁদের এই কাজ থেকে অব্য়াহতি দিতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে অব্যাহতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই দাবিকে সামনে রেখেই এদিন জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন তাঁরা।
আশা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক চুমকি দাস বলেন, “আমরা পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করতে গেলে সেখানে স্থানীয় তৃণমুল নেতারা আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন কারও নাম বাদ গেলে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে। এই অবস্থায় আমাদের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব। তাই আমরা এই কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দিলাম।” যদিও আশা কর্মীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা রাউত। তাঁর সাফ দাবি এ ধরণের কোনও হুমকিই দেওয়া হয়নি আশা কর্মীদের।