Kalipuja 2022: কারও পরিবার থেকেও নেই, কেউ সব হারিয়েছে, আলোর উৎসবে এবার সামিল হল ওরাও
Kalipuja 2022: কেউ পাচার হওয়ার সময় উদ্ধার হয়েছে, কাউকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সারা বছর চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন কাটে ওদের।
ধূপগুড়ি : আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক নয় ওদের জীবন। শুরুতেই তাল কেটেছে ওদের। কারও বয়স ৬, কারও বয়স ১০। সুস্থ শৈশবের স্বাদ পায়নি নানা কারণে। তবে আলোর উৎসব থেকে যাতে তারা বঞ্চিত না হয়, সেই ব্যবস্থা করল পুলিশ। গাড়িতে করে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরানো হল ওই সেই সব শিশু বা কিশোরীদের। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির একাধিক মণ্ডপে ঘোরানো হয় তাঁদের।
জলপাইগুড়ির ‘অনুভব হোম’-এর তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এদিন। একটি পুলিশ বাসে করে ৪৩ জন আবাসিককে সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়ির বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘোরানো হয়। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের সহযোগিতায় এদিন ৬ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের জন্য এই ব্যবস্থা করে হোম কর্তৃপক্ষ।
ওই শিশুদের প্রত্যেককেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে যে তারা হোমে থাকতে বাধ্য হয়েছে। সারা বছর বেরতে পারে না তারা। এক আবাসিক জানিয়েছে, ঠাকুর দেখার আব্দার করেছিল তারা। তাদের সেই আব্দার রেখেছেন হোমের সুপার। তারা ঠাকুর দেখে, ছবি তুলে আনন্দ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
এদের মধ্যে কাউকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, কেউ আবার পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিল, উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেউ আবার কোনও দুর্ঘটনায় সকলকে হারিয়েছে। তাদের কোনও ভাবে পুলিশ-প্রশাসন উদ্ধার করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য হোমে রেখেছে আদালতের নির্দেশে। সেই সমস্ত ছেলে মেয়েদেরই এভাবে ঠাকুর দেখানো হল এদিন।
হোমের সুপার ডালিয়া মিত্র বলেন, ‘আবাসিকরা চেয়েছিল তারা ধূপগুড়িতে ঠাকুর দেখতে যাবে। সেই মতো জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুলিশ সুপার একটি পুলিশ বাস দিয়েছে আমাদের এবং জেলাশাসকের সহযোগিতায় সেই বাসে করে ঠাকুর দর্শন করানো হল।’ তিনি জানান, এরা বেশির ভাগ সময়েই হোমের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘরবন্দি থাকে। তাই পুজোর সময় একটু আনন্দ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।