Dhupguri Bank Worker’s Death: দু’দিন আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের মধ্যেই কর্মীকে যে অবস্থায় দেখলেন সহকর্মীরা…

Dhupguri Mysterious Death: রদিন সকালেই ব্যাঙ্কের শাখার মধ্যেই ব্যাঙ্ককর্মীক অস্বাভাবিক মৃত্যু। ধূপগুড়ির মারেঙ্গা এলাকায় ব্যাঙ্কের মধ্যেই এক ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।

Dhupguri Bank Worker's Death: দু'দিন আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের মধ্যেই কর্মীকে যে অবস্থায় দেখলেন সহকর্মীরা...
ব্যাঙ্ক কর্মীর রহস্যমৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 11:32 AM

জলপাইগুড়ি: কাজে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র দু’দিন। অফিসেই কর্মীদের জন্য থাকার যে ব্যবস্থা ছিল, সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন। বাড়ির লোকের সঙ্গে রাতে কথাও বলেছিলেন ফোনে! অথচ পরদিন সকালেই ব্যাঙ্কের শাখার মধ্যে ব্যাঙ্ককর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ধূপগুড়ির মারেঙ্গা এলাকায় ব্যাঙ্কের মধ্যেই এক ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতের নাম লিটন সেন (১৯)।

জানা গিয়েছে, লিটন জলপাইগুড়ির সেন পাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধূপগুড়ি ব্লকের মরোঙ্গা চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় একটি ব্যাঙ্কের কাজে যোগ দেন তিনি। সোমবার নির্দিষ্ট সময়েই কাজে যোগদান করেন। এরপর মঙ্গলবার কাজ শেষে ব্যাঙ্কের মধ্যেই কর্মীদের যেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে থেকে যান তিনি। রাতে পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, রাতের খাবার সারা হয়ে গিয়েছে। এবার শুতে চলে যাবেন তিনি।

বুধবার সকাল থেকে আর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাঙ্কের থেকেই তাঁদেরকে ফোন করা হয়। পরিবারের দাবি, ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়, লিটন গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন লিটনের মৃত্যু হয়েছে। তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাতটা। এই ঘটনার লিটনের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। লিটনের পরিবারের বক্তব্য, অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির ছেলে লিটন। তাঁর সঙ্গে অন্য কারোর ঝামেলা সেভাবে কোনওদিনই চোখে পড়েনি পরিবারের। যে ছেলেটা দুদিন আগেই কাজে যোগ দিলেন, তাঁর হঠাৎ কেন মৃত্য়ু হল? রাতেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে পরিবারের। শারীরিক কোনও অসুস্থতাও ছিল না বলে দাবি পরিবারের।

ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। লিটনের বাবা বলেন. “ও অনেক ট্রেনিং নিয়েছিল। এর আগে শিলিগুড়িতেও চাকরি হয়েছিল। কিন্তু আমি যেতে দিইনি। বলেছিলাম, কাছে কোথাও হলে করতে। এখান থেকে ডাক আসে। ইন্টারভিউ দেয়। তারপর কাজও পেয়ে যায়। ও এখানে সোমবারই যোগ দেয়। বাকি অনেক কর্মীর সঙ্গে ব্যাঙ্কের রুমেই ছিল। সম্পূর্ণ সুস্থ ছেলে আমার। দুদিনের মধ্যে কীভাবে অসুস্থ হয়ে যায়? আর আমাকে মাঝ রাতে কেন খবর দেওয়া হল? ওর সঙ্গে যারা ওই রুমে ছিল, তারাই সবটা বলতে পারবে। একটা ঘরে দুটো-তিনটে করে বেড ছিল।” তদন্তে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: Bhatpara Crime: থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সাতসকালেই তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি’, উত্তপ্ত ভাটপাড়া

আরও পড়ুন: NIA Arrest: মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার ব্যবসায়ী