Bhatpara Crime: থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সাতসকালেই তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি’, উত্তপ্ত ভাটপাড়া
Bhatpara Crime: গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ভাটপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।
উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি। ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ভাটপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।
ভাটপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার হলেন অসীম রায়। তাঁর বাড়িও ওই এলাকাতেই। এদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। টোটো ধরার জন্য বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেসময় তিন জন যুবক সাইকেল নিয়ে আসে। একটি সাইকেলে দু’জন ও আরেকটিতে এক জন ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতেই বন্দুক ছিল। অতর্কিতে পিছন থেকে এসে অসীমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। সেসময় অসীম টের পেয়ে যাওয়ায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। সাইকেল থেকে পড়ে যায় দুজন।
অসীম দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে, পিছন থেকে তাঁকে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা বন্দুকে বাঁট দিয়ে মারে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় অসীমের। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। অনান্য দলীয় কর্মীরাও খবর পেয়ে চলে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি।
অসীম রায়ের বক্তব্য, “আমাকে ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখান থেকে বিজেপিকে উৎখাত করেছি। তাই অনেক দিন ধরেই ওদের রাগ রয়েছে আমার ওপর। আমি প্রত্যেক দিন সাড়ে সাতটা-আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাই। আজও সকালে যাচ্ছিলাম। তখন পৌনে আটটা বাজে। টোটো ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। ওরা পিছন থেকে হামলা করে। সাইকেলে এসেছিল।”
তৃণমূলের আরেক কর্মী বলেন, “অসীম দা আমাদের এখানে পরিচিত লোক। তিনি জনপ্রিয়। বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত থাকেন। আজকে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। গুলির খোল আমরা পুলিশের কাছে জমা করেছি। এলাকা থেকে একটি সাইকেলও উদ্ধার হয়েছে। ওই সাইকেলেই দুষ্কৃতীরা এসেছিল। দুটো সাইকেলে তিন জন দুষ্কৃতী এসেছিল। একটায় দুজন ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতেই বন্দুক ছিল। বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করেছিল। অসীম দা ঠেলা দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পিছন থেকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয় তাঁকে।”
সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “তোলাবাজ, গুন্ডাদের তৃণমূল নেতা বানিয়ে দিয়েছে। এবার তোলাবাজরা যেখানে থাকবে, সেখানে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হবে। যে ওকে মারতে যাবে, সে কি সাইকেল নিয়ে যাবে? আমি তো এই প্রথমবার শুনলাম। তার মানে নিজেই নাটক করছেন।” ভাটপাড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই সাতসকালে কীভাবে গুলি চলল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার ব্যবসায়ী
