Meenakshi Mukherjee: ‘ফেসবুক-টুইটারে না ঘুরে অফিসে আসুন…’উদয়ন গুহকে ঝাঁঝালো আক্রমণ মীনাক্ষীর
Meenakshi Mukherjee: শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মীনাক্ষী বলেন, "শুধু উত্তরকন্যায় গিয়ে বলেছিলাম নিখোঁজ মন্ত্রী তাতেই তাতেই গায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছে।
ধূপগুড়ি: ‘বাম আমলে চিরকূটে চাকরি’ এই ইস্যুতে নিজের বাবা কমল গুহ থেকে শুরু করে জ্যোতি বসু প্রত্যেককেই কাঠগড়ায় তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ফেসবুক-টুইটারে পোস্ট করকে একাধিকবার প্রাক্তন শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এরই পাল্টা দেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার উত্তরকন্যায় গিয়ে ‘নিখোঁজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী’ এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন তাঁরা। যদিও এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল মীনাক্ষী কেন উত্তরকন্যায় গিয়েছেন?
শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মীনাক্ষী বলেন, “শুধু উত্তরকন্যায় গিয়ে বলেছিলাম নিখোঁজ মন্ত্রী তাতেই তাতেই গায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছে। সকাল-বিকাল ফেসবুক আর টুইটারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই ফেসবুক টুইটারে না ঘুরে একটু অফিসে আসুন বসুন আর একটু এলাকায় ঘুরুন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ধূপগুড়ির গাদং ক্লাব মোড় এলাকায় জনসভা করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ১৩ এপ্রিল উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তা সফল করার আবেদন জানান নেত্রী। এমনকী শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ স্থায়ী শূন্যবাদ তৈরি করার দাবি সহ দুর্নীতি মুক্ত সরকার এবং প্রশাসন গড়ার ডাক দেওয়া হয় এদিনের প্রকাশকে সভা থেকে।
এদিন বামনেত্রী বলেন, “নিখোঁজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। গতকাল আমরা গিয়ে বলে এসেছিলাম। তারপর থেকে গায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছে। তাই সকাল থেকে ফেসবুক আর টুইটারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী কোনও কাজ করছে না। তাঁর দফতর কোনও কাজ করছে না। এলাকায় বালি পাথর সব পাচার হয়ে যাচ্ছে। মাটি পাচার হয়ে যাচ্ছে। তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না। বসে বসে দেখছে। কোনও হেলদোল নেই তাদের। আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট করার কথা ছিল সেটাও হয়নি। রেললাইন হলদিবাড়ি হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল সেটাও হয়নি।” তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকেও তার ভাষণে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। গরু পাচার নিয়ে তৃণমূল সরকারকে দোষেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । রাজ্যের হাসপাতাল গুলির বেহাল অবস্থা নিয়েও সুরচরাণ মীনাক্ষী মুখার্জী।”