Jalpaiguri: বাংলো বাড়ি, বাগানে খেলে বেড়ায় হরিণ, বাংলার এই হাসপাতালে ভর্তি হলেই সুস্থ হয়ে যান রোগীরা! ঠিকানা জানেন?

Jalpaiguri: চা বাগানের হাসপাতাল চত্বর জুড়ে বাহারি ফুলের বাগান। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োগ ছাড়াই চলছে জৈব সার দিয়ে ফসল চাষ। সেই চাষের উৎপাদিত ফসল আবার রান্না করে খাওয়ানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের।

Jalpaiguri: বাংলো বাড়ি, বাগানে খেলে বেড়ায় হরিণ, বাংলার এই হাসপাতালে ভর্তি হলেই সুস্থ হয়ে যান রোগীরা! ঠিকানা জানেন?
চা বাগানের হাসপাতালImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2023 | 2:45 PM

জলপাইগুড়ি: হাসপাতাল নয় এ যেন কোন বাংলো! এক নজরে দেখলে এমনটাই মনে হবে। গোটা রাজ্যে যখন সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো- সহ বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে নানান অভিযোগে উঠছে, তখন চা বাগানের এই হাসপাতালের ভবন রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। চা – বাগানের মাঝে ঝাঁ চকচকে ঘর। দেখলে মনে হবে সরকারি কোনও বাংলো। আদতে তা চা – বাগান শ্রমিকদের হাসপাতাল। পরিকাঠামোর দিক থেকে না হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং মনোরম পরিবেশের দিক থেকে হার মানায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলোকে। ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের অন্তর্গত গয়েরকাটা চা – বাগানের এই হাসপাতালটি। যেখানে আপাতত ৬০ টি শয্যা রয়েছে বলেই বাগান সূত্রে খবর।

চা বাগানের হাসপাতাল চত্বর জুড়ে বাহারি ফুলের বাগান। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োগ ছাড়াই চলছে জৈব সার দিয়ে ফসল চাষ। সেই চাষের উৎপাদিত ফসল আবার রান্না করে খাওয়ানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের।

যেখানে সরকারি হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই চিকিৎসার গাফিলতি  কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে রোগীর ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসে, সেখানে ঠিক তার উল্টো ছবি ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা – বাগানের এই হাসপাতাল। কোথাও নেই নোংরা আবর্জনা, দেওয়ালে কোথাও নেই গুটখা ও পানের পিকের দাগ। একবারে ঝকঝকে হাসপাতাল চত্বর।

এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, “হ্যাঁ বাকি হাসপাতাল থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে এলে রোগীর মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়।” তবে এসবের পরেও বেশ কিছু সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। পরিকাঠামোর দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে এই হাসপাতাল। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই অক্সিজেন। নেই প্রসূতির সিজারের কোনও ব্যাবস্থা। তবে সরকারি ভাবে যদি সাহায্য করা হয়, তাহলে বাগান শ্রমিকরা সমস্ত রকমের পরিষেবা পাবেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

গয়েরকাটা চা – বাগান হাসপাতালে একপাশে রোগীদের জন্যে চাষ করা হয়েছে আলু, পেঁয়াজ , রসুন, পালং শাক-সহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি। পাশাপাশি বিভিন্ন রং বেরঙের ফুলের গাছ।

এদিন তৃষা বরা নামে এক রোগীর আত্মীয় জানান, “সরকারি হাসপাতালের থেকে এই চা – বাগানের হাসপাতাল অনেকটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখানে কেও পান , গুটখার পিক, থুথু যেখানে সেখানে ফেলেন না। সকলেই ডাস্টবিন ব্যবহার করেন। এমনকি হাসপাতালের চাষ করা সবজি রোগীদের রান্না করে খাওয়ানো হয়। সকালে চা – বাগান থেকে ময়ূর বেরিয়ে আসে। সন্ধ্যায় হাতির ডাক শোনা যায়। আমাদের খুবই ভালো লাগে।”

চা – বাগান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ধরম দাসবর্মা বলেন, “এই হাসপাতাল এতটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আমি নিজের স্ত্রীকে এই হাসপাতালে রেখেছি সন্তান জন্ম হওয়ার পর। সরকারি হাসপাতালে সিজার করার পর এখানে নিয়ে এসেছিলাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম পরিবেশ সকলকে মুগ্ধ করে। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সরকারি ভাবে যদি সাহায্য করা হয়, তাহলে খুবই ভাল পরিষেবা পাবে বাগানের শ্রমিকেরা।”