AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2021: ‘রঙ্গবতী’র ‘রঙ্গে’ উদ্দাম ফূর্তি! অষ্টমীতে এক মণ্ডপেই তিনশো মানুষ অনাকাঙ্খিত সত্যের মুখোমুখি

Dhupguri: স্থানীয় যুবক-যুবতীরা তো বটেই, ভিড়ের মধ্যে দেখা গেল চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা-পুরুষদেরও। রীতিমতো পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনে চলল করোনা বিধি লঙ্ঘন।

Durga Puja 2021: 'রঙ্গবতী'র 'রঙ্গে' উদ্দাম ফূর্তি! অষ্টমীতে এক মণ্ডপেই তিনশো মানুষ অনাকাঙ্খিত সত্যের মুখোমুখি
ধূপগুড়িতে কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে নাচ(নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2021 | 7:31 AM
Share

জলপাইগুড়ি: রাজ্য সরকার এবং আদালতের নির্দেশিকা অমান্য করেই অষ্টমীতে চলল ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ। উন্মত্ত জনতার ভিড়।

কারোরই মুখে মাস্ক নেই বললেই চলে। যাঁদের রয়েছে, তাঁদের আবার তা থুতনির নীচে। কারও আবার হাতের মুঠোয়। নীলাভ আলো, ডিজে আর সঙ্গে উন্মত্ত যুবক যুবতীদের ভিড়। রাজ্য সরকার এবং আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই দুর্গাপূজার অষ্টমীতে উদ্দাম নাচ চলল মণ্ডপের সামনে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ছড়াতেই সমালোচনার ঝড় নেটিজেনদের। করোনা বিধিকে অমান্য করেই পুজো মণ্ডপের পাশে মাস্ক ছাড়া তিনশোরও বেশি মানুষের ভিড় চোখে পড়ব ধূপগুড়ির বৈরতিগুরি হাইস্কুলের পুজো মণ্ডপে। আর সেখানেই ডিজে বক্স চালিয়ে চলল নাচ।

স্থানীয় যুবক-যুবতীরা তো বটেই, ভিড়ের মধ্যে দেখা গেল চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা-পুরুষদেরও। রীতিমতো পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনে চলল করোনা বিধি লঙ্ঘন। যেন পুজো প্রাঙ্গণেই একপ্রকার জলসা! প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। ধূপগুড়ির বৈরতিগুরি হাইস্কুলে সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির আয়োজিত পূজামণ্ডপের পাশেই রীতি মতো করোণা বিধি অমান্য করে চলে অনুষ্ঠান ।

আংড়াভাসা বংশীবদন হাই স্কুলেও ধরা পড়ে একই চিত্র। ডিজে বক্স বাজিয়ে চলে নাচ। সেখানেও অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না।

অতিমারিতে পরিস্থিতিতে পুজো করার ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন। এমনকি মেলা পর্যন্ত করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভিড় এড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে। পুজো মণ্ডপগুলিতে এক সঙ্গে কত জন করে থাকতে পারবেন, সেই সংখ্যাটাও আদালত নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, বড় মণ্ডলগুলিতে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৪৫-৬০ জন দর্শনার্থী। ছোটো মণ্ডপগুলিতে একসঙ্গে থাকবে পারবেন ১৫ জন। নিয়ম না মানলে পুজোর অনুমতিই বাতিল করে দেওয়া হবে বলে কঠোরভাবে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রেও জারি রয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। তাহলে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। কীভাবে রাজ্য সরকার এবং আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হল? কারা আয়োজন করল? প্রশাসনের কর্তারা তখন কোথায় ছিলেন, তা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুজো কমিটির সদস্যরা বলছেন, “এর সঙ্গে পুজো কমিটির কেউই জড়িত নয়। স্থানীয় ছেলেমেয়েরাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। পুজো কমিটি কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করেছে।”

আরও পড়ুন: Post Poll violence: বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন! শোভারানি মণ্ডল খুনে তিন মহিলা সহ আট জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

আরও পড়ুন: Photo Gallery: অক্সিজেনের আকাল, বেড সঙ্কট, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন- সব ভুলে গেলেন ৬ মাসেই!