Jalpaiguri Kali Puja: কালী পুজোর উদ্বোধনের আগেই টুইন টাওয়ার দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল জলপাইগুড়িতে
Jalpaiguri Kali Puja: এবার করোনার প্রকোপ কমতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পূজো উদ্যোক্তারা। জেলার বিভিন্ন ব্লকে একের পর নজর কাড়া কালী পূজার প্যান্ডেল।
জলপাইগুড়ি: উদ্বোধন হবে রবিবার। তার আগেই শুক্রবার রাতে মানুষের ঢল নামে জলপাইগুড়ি শহরে। আসন্ন কালী পূজা উপলক্ষে দাদাভাই ক্লাবের ১৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট সম্পূর্ণ কাঁচের তৈরি মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার ও তার সঙ্গে চোখ ধাঁধানো লাইটিং দেখতে মানুষের ঢল নামে ক্লাব প্রাঙ্গনে।
জলপাইগুড়ি জেলা বরাবর কালী পূজোর জন্য বিখ্যাত। উত্তরবঙ্গ জুড়ে মানুষ আসেন এখানকার কালী পূজো দেখতে। করোনার কারণে গত দু’বছর হাতে গোনা কয়েকটি বড় পূজো হয়েছিল।
কিন্তু এবার করোনার প্রকোপ কমতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পূজো উদ্যোক্তারা। জেলার বিভিন্ন ব্লকে একের পর নজর কাড়া কালী পূজার প্যান্ডেল।
জেলায় বড় পূজো কমিটিগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা পূজো করে থাকে জলপাইগুড়ি ৪ নম্বর ঘুমটি এলাকার দাদাভাই ক্লাব। বরাবর তারা তাদের প্যান্ডেল ও প্রতিমায় অভিনব কিছু করে থাকে। বরাবরের মতো এবারেও তাদের দুর্গা পূজার আগে খুঁটি পূজো হয়েছিল। এবারে তাঁরা ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দর্শনার্থীদের কাছে উপহার দিতে চলেছে সম্পূর্ণ কাঁচের তৈরি মালয়েশিয়ায় টুইন টাওয়ার। যার অপূর্ব নির্মাণশৈলি ও আলোকসজ্জা দেখতে শুক্রবার রাতে মানুষের ঢল নেমেছে শহরে।
ক্লাব সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খুঁটি পূজার পর থেকেই মানুষ জেনে গিয়েছিলেন, আমরা এবার কালী পূজোয় বিখ্যাত টুইন টাওয়ার দর্শনার্থীদের উপহার দিতে চলেছি। তাই ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য ফোন কল, হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ আসতে শুরু করে দিয়েছে। দুর্গা পূজোয় বৃষ্টি সব আনন্দ মাটি করে দিয়েছে। তাই আমরা আশা করছি কালী পূজার এই কয়েকদিন আবহাওয়া ভালোই থাকবে। কয়েক লক্ষ মানুষ আসবে বলে আশা করি। সেই অনুযায়ী আমরা প্রশাসনকে পাশে পেয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। এবারে প্যান্ডেলের পেছনে খরচ করা হচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।”
তিনি আরও জানান, আলোকসজ্জা, প্রতিমা, পূজো ও ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদির পেছনে খরচ হচ্ছে আরও ১০ লক্ষ টাকা। রবিবার পূজোর উদ্বোধন।