Jalpaiguri: জল ছুঁয়ে যাচ্ছে বাড়ির চালও, তিস্তার জলে প্লাবিত একের পর এক গ্রাম
Jalpaiguri: এক কোমর জল ডেঙিয়ে মাথায় শেষ সম্বলটুকু তুলে নিরাপদ জায়গার রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহায়সম্বল বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে অভিযোগ, একবারের জন্য বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করতে যাননি প্রশাসনিক কর্তারা।
জলপাইগুড়ি: তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত মালবাজারের টোটগাঁও গ্রাম। সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল উপচে ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে। জলবন্দি এলাকার প্রায় ৫৩টি পরিবার। আতঙ্কে মানুষশূন্য হচ্ছে গোটা গ্রাম। সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। ঘরের ভেতর বাড়ির উঠোনের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। কোথাও এক হাঁটু জল তো কোথাও এক কোমর জল। বাড়ি ঘর ছেড়ে ভয়ে অন্যত্র নিরাপদ জায়গার খোঁজে পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার জলস্তর বাড়ছে । মঙ্গলবার পর্যন্ত যে সব জায়গায় চাষের জমি ছিল, বুধবার সকালের মধ্যে সেখানে এক কোমর জল বইছে। ক্ষেতের উপর পড়ে গিয়েছে পলি। দিশহারা এলাকার মানুষের। এখানকার মানুষের মূল জীবিকা কৃষিকাজ।
এক কোমর জল ডেঙিয়ে মাথায় শেষ সম্বলটুকু তুলে নিরাপদ জায়গার রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহায়সম্বল বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে অভিযোগ, একবারের জন্য বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করতে যাননি প্রশাসনিক কর্তারা।
কোথায় আছে নদীর পাড়ে বাস চিন্তা বারমাস। ঠিক তেমনি তিস্তার পাড়ের ঠোটগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের এখন করুণ অবস্থা। গোটা গ্রামের তিস্তার জল ঢুকে পড়লেও এলাকার ভিডিয়ো প্রশাসনিক কর্তা এমনকি এই এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক-এর। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, “আমরা এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার তৈরি হয়নি।”
সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টি এবং ডুয়ার্সের বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠে। সেই জল গ্রামে ঢুকছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুনর্বাসনের দাবি করেছেন। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক কর্তারা এই নিয়ে কিছু বলেননি।