Jalpaiguri Prisoner: সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির রহস্যমৃত্যু, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
Jalpaiguri Prisoner: পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট, অর্থাৎ সোমবার জাকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে । মৃত ব্যাক্তির নাম জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। জাকিরের বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ১০৮ ছোটো কুচলি বাড়ি এলাকায়। গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পক্সো মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে জাকিরকে। এর পরে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেখলিগঞ্জ সেশন কোর্ট জাকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই জাকির জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট, অর্থাৎ সোমবার জাকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ হওয়া,হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন বিষয়েই সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে বন্দির পরিবারে জানানো হয়নি।
জাকির হোসেনের দাদা হৃদয় হোসেন দাবি করেন, গত মঙ্গলবার তাঁর ভাইয়ের সাথে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবার জন্য আবেদন করলে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে আমতা আমতা করতে থাকে। এরপর চেপে ধরতেই তারা জানায়, জাকির অসুস্থ। তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরপর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গেলে জাকিরের নিথর দেহ দেখতে পান। দাদা হৃদয় হোসেন বলেন, “চলতি মাসের ৬ তারিখ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ও ভালই ছিল। মঙ্গলবার আবারও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আবেদন করলে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। এর পরে দুপুর নাগাদ সংসোশনাগারে ফোন করলে বলা হয় ভাই অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
কেন জেল কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি, তবে কি কিছু আড়াল করার চেষ্টা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পারিবার।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার টেলিফোনে বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। তবে ঘটনার কথা শুনেছেন। দফতরের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।