Jalpaiguri: বিছানায় শুয়ে দম্পতি, আসছিল সেই শব্দ, হুঁশ ফিরতেই মেরুদণ্ড দিয়ে বয়ে গেল হিমস্রোত!
Jalpaiguri: দৃশ্য দেখে রীতিমতো তাঁদের মেরুদণ্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘরের বাইরে চলে যান। এরপর দড়জা বন্ধ করে দিয়ে খবর দেন ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য অমল রায়কে। খবর পেয়ে রাত ১২ টা নাগাদ ওই বাড়িতে যান অমল রায় এক ব্যক্তি।
জলপাইগুড়ি: রাতের খাওয়া সেরে সবে বিছানায় শুতে গিয়েছিলেন। তখনই একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। বৃষ্টিভেজা রাতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোনার চেষ্টা করচ্ছিলেন। কিন্তু সে সব কিছু ভেদ করে পৌঁছাচ্ছিল কানে। শব্দের উৎস সন্ধানে টর্চ জ্বালিয়ে খোঁজ শুরু করেন দম্পতি। বুঝতে পারেন আলমারির পিছনেই কিছু একটা… টর্চের আলো ফেলতেই আঁতকে উঠলেন ময়নাগুড়ির ফার্ম শহিদ গড় এলাকার এক দম্পতি। বিছানা লাগোয়া স্টিল আলমারির পেছনে থেকে ভেসে আসছিল ফোঁস ফোঁস আওয়াজ। তড়িঘড়ি মোবাইলের আলো জ্বেলে ভাল করে দেখতে গেলে দম্পতির নজরে পড়ে স্টিল আলমারির নীচে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে রয়েছে একটি গোখরো সাপ।
দৃশ্য দেখে রীতিমতো তাঁদের মেরুদণ্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘরের বাইরে চলে যান। এরপর দড়জা বন্ধ করে দিয়ে খবর দেন ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য অমল রায়কে। খবর পেয়ে রাত ১২ টা নাগাদ ওই বাড়িতে যান অমল রায় এক ব্যক্তি। এরপর বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় সাপটিকে উদ্ধার করেন।
অমল রায় বলেন, “এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা ছিল। এই সাপ বিষধর। এই সময় সাপের উপদ্রব এমনিতেই বেশি হয়।পাশাপাশি প্রচণ্ড গরম পড়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবে সাপ ঠান্ডা জায়গায় খোঁজ করছে। তাই আমাদের প্রত্যেক কে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে অজথা আবর্জনা জমিয়ে রাখা যাবে না। রাতে রাস্তায় যাতায়াতের সময় টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হবে।”