Jalpaiguri: আর্বজনা ফেলে পুকুর ‘ভরাট’ করছিল খোদ পৌরসভাই, খবর পেয়ে পৌঁছাল BLRO
Jalpaiguri: ধূপগুড়ি পুলিশ প্রশাসন ও ধূপগুড়ি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। পুলিশ প্রশাসন এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের চোখের সামনেই দেদার চলছে জলাভূমি করার বিভিন্ন জায়গায়। এর কারণে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে জলাভূমি।
জলপাইগুড়ি: অবৈধভাবে দিনে দুপুরে চলছিল পুকুর ভরাট। অভিযোগ পেতেই অবৈধভাবে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে তৎপর হল ভূমি রাজস্ব দফতর ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ধূপগুড়িতে যেন অলিখিতভাবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের। এবার ধূপগুড়ি পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়া এলাকায় রাতে এবং দিনে দুপুরে চলছিল জলাশয় ভরাটের কাজ। খবর পুলিশের কাছে যেতেই তৎপরতা শুরু করল প্রশাসন।
ধূপগুড়ি পুলিশ প্রশাসন ও ধূপগুড়ি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। পুলিশ প্রশাসন এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের চোখের সামনেই দেদার চলছে জলাভূমি করার বিভিন্ন জায়গায়। এর কারণে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে জলাভূমি। এবং বর্ষাকালে জল যাওয়ার রাস্তা না পেয়ে জলমগ্ন হবে শহর এমনটাই আশঙ্কা করছে শহরবাসী। প্রশ্ন তুলছে পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও।
ধূপগুড়ি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দপাড়ায় প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছিল। যার খবর ধূপগুড়ি পুলিশ প্রশাসন ও ধূপগুড়ি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের কাছে পৌঁছতেই তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা কাজ বন্ধ করে দেয়। জমি মাপ যোগ করে।
যদিও সেই জলাভূমির ৭০ শতাংশ ভরাট হয়ে গিয়েছে। একদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেন ধূপগুড়ি পৌরসভার যাবতীয় নোংরা আবর্জনা এই জলাশয়ে ফেলে অনেক আগেই অনেকটা ভরাট করে ফেলেছিল । এদিকে পুলিশ প্রশাসন ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়ে এসে খোদ ধূপগুড়ি পৌরসভাই। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ” নোংরা ফেলা হত ঠিক। তবে পুকুর যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভরাট করছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক।”
যদিও ক্যামেরার সামনে কোন কিছু বলতে চাননি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশ কর্তারা। ক্যামেরা দেখে এড়িয়ে যান সকলেই।