Jalpaiguri Wildlife Rescued: বাস থেকে উদ্ধার এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা দামের একটি বাঁদর! কেন এত দাম এই বাঁদরের?
Jalpaiguri Wildlife Rescued: কোথা থেকে এই বিরল প্রজাতির প্রাণী পাচার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার খোঁজ করছে শুল্ক দফতর। দুদিন আগেই মায়ানমার থেকে নেপালে পাচার হওয়া বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বিদেশি লেঙ্গুর উদ্ধার করে কাস্টমস আধিকারিকরা।
জলপাইগুড়ি: যাত্রীবোঝাই একটা বাস। প্রত্যেকেই বাসের মাল রাখার জায়গায় তখন হুড়োহুড়ি। কার জিনিসটা আগে রাখা যায়। ঠিক সেসময়ই একটা অদ্ভূত শব্দ কানে এসেছিল যাত্রীদের। কিন্তু তাঁরা সেভাবে তোয়াক্কা করেননি। কিন্তু মাঝ রাস্তায় আচমকাই বাস থামান কয়েকজন উর্দিধারী। কী হয়েছে, তা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না যাত্রীরা। বাসে চলতে থাকে তল্লাশি। প্রত্যেকটা সিট, সিটের নীচে তল্লাশি চালাতে থাকেন উর্দিধারীরা। শেষমেশ তল্লাশি চলে বাসের সেই মাল রাখার জায়গাতেই। কালো প্লাস্টিকে মোড়া তিনটি খাঁচা বেরিয়ে আসে। শব্দটা যে কোথা থেকে আসছিল,তা ততক্ষণে যাত্রীরা বুঝেছেন। প্লাস্টিক সরাতেই হতভম্ব সকালে। খাঁচাগুলির মধ্যে একটিতে ছিল একটা বাঁদর। একটাই! কিন্তু একটা বাঁদরের পিছনেই বা কেন পড়ে রয়েছেন উর্দিধারীরা? একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলেন বাসের প্রত্যেক যাত্রীরা।
পুলিশ কর্মীদের কানাঘুষোতেই জানা যায় আসল কারণ। ওই একটা বাঁদরের বাজারে মূল্য রয়েছে এক কোটি দশ লক্ষ টাকা। বিরল প্রজাতির ওই বাঁদরটা পাচার করা হচ্ছিল সম্ভবত বিদেশেই। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা বাঁদরটাকে উদ্ধার করেছেন। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরাই জানাচ্ছেন, যার বাজারে মূল্য রয়েছে এক কোটি দশ লক্ষ টাকা।
কাস্টমস আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বার্মা-মায়ানমার থেকে নেপালে কিছু বন্যপ্রাণী পাচার করা হবে। সেই মোতাবেক ময়নাগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়কে ফাঁদ পেতে বসেছিল কাস্টমস আধিকারিকেরা। বাসটি সোমবার ভোর রাতে ময়নাগুড়়ির চেকপোস্টের কাছে আসে। সেই সময় বাস থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন আধিকারিকরা। বাসের পিছনের দিকে সিটের নীচেই রাখা ছিল তিনটি খাঁচা। তাতে ৪ টি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রাখা ছিল। কালো প্লাস্টিকে দিয়ে ঢাকা ছিল খাঁচাগুলি। যার মধ্যে একটি গোল্ডেন লেঙ্গুর রয়েছে বলে খবর। মোটা টাকায় বিক্রি হচ্ছিল লেঙ্গুরটি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মায়ানমার থেকে নেপালে পাচার হয়েছিল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বিদেশি লেঙ্গুরটি।
শুল্ক দফতরের আধিকারিক জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলি বিলুপ্তপ্রায়। বিদেশে এই প্রাণীগুলি কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয়। এর পিছনে একটা বড় চক্র সক্রিয়। এর আগেও ক্যামেলিয়ন প্রজাতির বাঁদর উদ্ধার হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া এই প্রজাতির বাঁদরগুলিকে বলা হয় মায়ানমার স্নাব নোসড মাঙ্কি কিংবা বার্মিস স্নাব নোসড মাঙ্কি। ২০১০ সালে এই প্রজাতির বাঁদর প্রথম উত্তর মায়ানমারে পাওয়া গিয়েছিল। কালো কুচকুচে পশমে ঢাকা থাকে সারা শরীর। মাথার ওপরের অংশটা একটু উঁচু আর কপালের সামনের অংশটা কিছুটা বাঁকা মতন হয়। মুখ ধবধবে সাদা।