Wood Smuggling: সাজানো-গোছানো বাসেই কি না শেষমেশ এইসব! চক্ষু চড়কগাছ খোদ পুলিশের
Dhupguri: বিলাসবহুল বাসে করে পাচার করা হচ্ছিল সেগুন কাঠ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ও বনদফতর যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ধূপগুড়ির ঝুমুর এলাকায় একটি কলকাতাগামী বাস থেকে বিপুল সংখ্যক সেগুন কাঠ উদ্ধার করে।
ধূপগুড়ি: উত্তরবঙ্গ থেকে দ্রুতগতিতে কলকাতার দিকে একটি বাস যাচ্ছিল। সেই বাসটিতে তল্লাশি চালাতেই বিপত্তি। সাদা কাগজে মোড়া ওগুলো কী! কাগজ খুলতেই উদ্ধার হল রহস্য।
বিলাসবহুল বাসে করে পাচার করা হচ্ছিল সেগুন কাঠ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ও বনদফতর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ধূপগুড়ির ঝুমুর এলাকায় একটি কলকাতাগামী বাস থেকে বিপুল সংখ্যক সেগুন কাঠ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ফালাকাটা থেকে কাঠগুলি সাদা বস্তার মধ্যে প্যাকিং করে দূরপাল্লার বিলাসবহুল বাসে তোলা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধুপগুড়ির ঝুমুর ওভারব্রিজ সংলগ্ন একটি ধাবার সামনে বাসটিকে দাঁড় করায় পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা। উদ্ধার হওয়া সেগুন কাঠ গুলির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখেন বনদফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি কাঠগুলির মূল্য কত হবে সেটাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
তবে প্রশ্ন উঠছে কী করে এই সেগুন কাঠগুলি পাচার করা হচ্ছিল। ফালাকাটা এবং শালবাড়ির কোনও জায়গা থেকে কাঠগুলি গাড়িতে তোলা হয়। কোন জঙ্গল থেকে চোরাই কাঠগুলো বের করা হয়েছিল সব দিক খতিয়ে দেখতে মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অবৈধ শালকাঠগুলি ফালাকাটা এবং শালবাড়ি থেকে তোলা হয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশ সেই বাসটিকে আটক করে মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেন। গাড়িটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মরাঘাট রেঞ্জের গয়েরকাটাতে।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “গোপন সূত্রে খবর ছিল বাসের মধ্যে কিছু পাচার করা হচ্ছিল। সেই বাসটি আসছে ফালাকাটা হয়ে। সেই অনুযায়ী আমরা ধূপগুড়িতে বসেছিলাম। তারপরই আমরা ধরি।”
বস্তুত গত ১ তারিখ জলপাইগুড়ি থেকেই কাঠপাচারের খবর সামনে আসে। তুষ বোঝাই বস্তার আড়ালে পাচার হচ্ছিল মহা মূল্যবান সেগুন কাঠ। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা। বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, সেবক থেকে কিছু কাঠ পাচার করা হবে। সেই খবরের ভিত্তিতে রবিবার তল্লাশি শুরু করতেই দেখা যায় গাড়িতে বোঝাই করা রয়েছে তুষের বস্তা। আর সেই তুষের বস্তার আড়ালে রাখা হয়েছে সেগুন কাছ। চর এলাকায় একটি টিম নিয়ে ওঁৎ পেতে বসেছিলেন তিনি। এরপর গোপন সূত্র পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটির পিছু নেন তাঁরা। সঞ্জয় দত্ত তাঁর টিম নিয়ে পিছু নিতেই মহানন্দার চর এলাকার গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় ওই পাচারের গাড়ির চালক। এরপর ওই গাড়িটিতে বেলাকবা রেঞ্জে নিয়ে এসে তল্লাশি চালান বনকর্মীরা। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ।