Jalpaiguri news: পণের দাবিতে অত্যাচার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি, হাতে কাস্তের কোপ, ছিঃ ছিঃ করছেন প্রতিবেশীরা

Dowry: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে ময়নাগুড়ি থানা এলাকার রাখালহাটের কামার পাড়ায় দিবেশ পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মী রায়ের। বিয়ের প্রথম ক'টা দিন ভালই ছিল সব। কিন্তু মাস তিনেক পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।

Jalpaiguri news: পণের দাবিতে অত্যাচার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি, হাতে কাস্তের কোপ, ছিঃ ছিঃ করছেন প্রতিবেশীরা
আক্রান্ত গৃহবধূ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 3:59 PM

ময়নাগুড়ি : পণ চেয়ে বিবাদের জের। অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এরপর ওই গৃহবধূর হাতে কাস্তে দিয়ে কোপ মারারও অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি থানা এলাকার কুমারপাড়ায়। আক্রান্ত মহিলার নাম লক্ষ্মী রায়। তাঁর হাতে আটটি সেলাই পড়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের কাউকেই বাড়িতে দেখা যায়নি। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে ময়নাগুড়ি থানা এলাকার রাখালহাটের কামার পাড়ায় দিবেশ পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মী রায়ের। বিয়ের প্রথম ক’টা দিন ভালই ছিল সব। কিন্তু মাস তিনেক পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। অমানবিক সেই অত্যাচারের ভয়ে মাঝে মধ্য়েই ওই মহিলা বাপের বাড়ি পালিয়ে যেত। অতীতে একবার নাকি বিদ্যুতের শক দিয়েও মারার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে ফের একবার অশান্তি চরমে ওঠে। বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। গৃহবধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। এমনকী হাতেও কাস্তে দিয়ে কোপ বসানো হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূ পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় স্থানীয় এক মুদিখানার দোকানে।

এরপর সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। চিকিৎসা করা হয় গৃহবধূর। হাতে আটটি সেলাই পড়ে তাঁর। হাসপাতালে চিকিৎসার পরেই সেই অবস্থায় ওই গৃহবধূ চলে যান ময়নাগুড়ি থানায়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা।

এদিকে ওই ঘটনার পর এলাকায় প্রতিবেশীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। লক্ষ্মী রায়ের শ্বশুরবাড়ির এলাকার বাসিন্দা পবিত্র রায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল ওই পরিবারে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।