‘টাকার দরকারে কেন্দ্রের কাছে দৌড়ন, তারপর বুড়ো আঙুল!’ মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণে রাজু
Raju Banerjee: "বিজেপির একজন আদিবাসী নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তৃণমূল কীভাবে চক্রান্ত করে তাঁর পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে গতকালই তার পর্দা ফাঁস হয়েছে জলপাইগুড়িতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে তৃণমূল।''
জলপাইগুড়ি: “মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)-র যখন টাকার দরকার হয় তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দৌড়ন। আর কেন্দ্রের নিয়ম মানার বেলায় বুড়ো আঙুল।” ঠিক এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু ব্যানার্জি (Raju Banerjee)। বুধবার জলপাইগুড়ি থেকে রাজ্য সরকারকে নানা ইস্যুতে আক্রপমণ করলেন বিজেপি নেতা।
এদিন দুপুরে তিনি জলপাইগুড়িতে আসেন রাজু। শহরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “মমতা ব্যানার্জীর যখন টাকার দরকার হয় তখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দৌড়ন। আর কেন্দ্রের নিয়ম মানার বেলায় বুড়ো আঙুল দেখান।”
ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে ভুয়ো অফিসার, সব কাণ্ডেই রাজ্য সরকারের ওপর দায় চাপান বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন আগে লাল আলোর (গাড়িতে) ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আর এই রাজ্যের মন্ত্রীরাও গাড়িতে লাল লাইট লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই তো ভুয়োতে ছেয়ে গিয়েছে এই রাজ্য।”
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে নিয়ে চলা সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি। বলেন, “বিজেপির একজন আদিবাসী নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তৃণমূল কীভাবে চক্রান্ত করে তাঁর পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে গতকালই তার পর্দা ফাঁস হয়েছে জলপাইগুড়িতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে তৃণমূল।”
উল্লেখ্য, ২৭ বছরের এক আদিবাসী রমণীকে টানা চোদ্দ বছর ধরে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন অধুনা তৃণমূল নেতা গঙ্গাুপ্রসাদ শর্মা। সেই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বানারহাটের ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় তৃণমূল নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে অভিযুক্তের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। প্রকাশ্যে আনেন বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপও।
কিন্তু মঙ্গলবার সম্পূর্ণ উলটপুরাণ অভিযোগকারিণীর। আদালতে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে রীতিমতো বদলে ফেলেন বয়ান। যার ফলে ধর্ষণ-কাণ্ডে আর্থিক তছরূপের মামলায় ‘ক্লিনচিট’ পেলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাও। এসবই তৃণমূলের ষড়যন্ত্র বলে কার্যত দাবি করেন ববিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি। আরও পড়ুন: বাগনান ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত আরও ২ তৃণমূল কর্মী, অধরা মূল অভিযুক্ত!