Jalpaiguri: কাটমানি নিয়ে শিল্পীভাতা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধে
Jalpaiguri: সরকারি নথিভুক্ত শিল্পীদের অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিকের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠলো তথ্য সংস্কৃতি দফতরের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
জলপাইগুড়ি: কাটমানি নিয়ে শিল্পী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত চেয়ে আধিকারিককে প্রতিবাদ পত্র দিল জেলার সরকারি অনুদান প্রাপ্ত শিল্পীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়িতে।
বুধবার দুপুরে এই ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিল্পীরা। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক মিতেন্দ্র ছেত্রী।
শিল্পীদের অভিযোগ, বেশ কিছু শিল্পীর অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। সেই শিল্পীদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে গিয়ে ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে টাকা তুলে তাঁদের কাটমানি নিয়ে নিয়ে বাকি টাকা শিল্পীর হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন দফতরের কতিপয় কর্মী। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিককে স্মারকলিপি দেন তারা।
জ্যোৎস্না বর্মা নামে এক শিল্পী অভিযোগ করে বলেন, ‘এতো দেখছি এখানেও পার্থ ও অর্পিতা কাণ্ড। আমরা মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা পাই। আর সরকারি অনুষ্ঠান করলে প্রতিদিন ১০০০ টাকা হিসাবে পাই। এই হিসাবে আমরা সাধারণত মাসে দুই তিন হাজার টাকা পেয়ে থাকি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এক শিল্পীর অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৭০০০ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এরপর তাঁকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়েছেন এই অফিসের কতিপয় কর্মী। তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে কাটমানি নিয়েছে কর্মীরা। আমরা এর বিহিত চাই।’
দুর্গা রায় নামে উত্তরবঙ্গের প্রথিতযশা ভাওয়াইয়া শিল্পী বিষয়টি নিয়ে নিন্দা করে বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি। সম্প্রতি কানাঘুষা হচ্ছিল। আজ আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আধিকারিকের কাছে লিখিত ভাবে তদন্ত দাবি করে গেলাম।’
ঘটনায় জলপাইগুড়ি তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক মিতেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে আসার সাথে-সাথে আমি অতিরিক্ত জেলাশাসকের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি আমাকে সমস্ত অভিযোগ জমা নিয়ে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। তার নির্দেশ মতো কাজ করা হচ্ছে।’