TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তারক্তি মালদহের হরিশচন্দ্রপুর! গোলাগুলিতে আহত ২, এলাকায় নামল র্যাফ
Crime News: ফের জেলায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। যার জেরে চলল গুলি। গোলাগুলিতে আহত হলেন দলেরই এক নেতার দুই পুত্র তথা কর্মী। এলাকায় নামানো হল র্যাফ (RAF)।
মালদহ: ফের জেলায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। যার জেরে চলল গুলি। গোলাগুলিতে আহত হলেন দলেরই এক নেতার দুই পুত্র তথা কর্মী। এলাকায় নামানো হল র্যাফ (RAF)। সূত্রের খবর, সোমবার মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংর্ঘষে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুরে।
সোমবার হঠাৎই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারী এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে গুলিতে আহত হন তৃণমূলের দুই কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তারপরেও থেমে নেই অশান্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনি। তাতেও হয়নি। অবশেষে নামাতে হল র্যাফ।
হঠাৎ কেন এমন অশান্তি?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশচন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূলের দুই দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম উনসাহার ও বাসির। কাতলামারী এলাকা কার দখলে থাকবে সেই নিয়ে বেশ কিছুদিন তাঁদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল চলছিল বলে খবর। তার পর সোমবার সেই ঝামেলা তীব্র আকার নিল। এদিন বিকালে এলাকার দখল নিয়ে বচসা শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর। এর পরই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাসিরের দুই ছেলেই গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। গুরুতর আহত দুই জনকে প্রথমে এলাকার প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চাঁচল স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে এবং পরে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁদের। আহতদের একজনের পেটে এবং অপরজনের পিঠে গুলি লেগেছে বলে খবর।
এদিকে অশান্তির খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে নামাতে হয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স- এর একটি কোম্পানিকেও। হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে। থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা কাতলামারী এলাকা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ অক্টোবর তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন ঘিরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অবরুদ্ধ হয় মালদহের কালিয়াচকের জাতীয় সড়ক। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের দিকেই ধেয়ে আসে গুলি। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আহত হন পুলিশ অফিসার, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে তৃণমূলের নেতারাও। সেই ঘটনার পরও টুকরো টুকরো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর মিলেছে। ফের রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটল হরিশচন্দ্রপুরে। যদিও এ নিয়ে জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
আরও পড়ুন: Asok Bhattacharya: ‘অবসর’ ভেঙে ফের ভোট ময়দানে অশোক! শিলিগুড়ি পুরভোটে-ও বামেদেরভরসা তিনিই