Malda: বিধানসভায় শূন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ, সভা চলাকালীন টেনে নিয়ে গিয়ে ‘মারধর’ নেতাকে
Congress: অভিযোগ, তিন বছর আগে সরকারি মিনি পাম্প সেট পাইয়ে দেওযার নাম করে স্থানীয় এক ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়েছিলেন মহম্মদ রাকিব নামে এক কংগ্রেস নেতা। মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
মালদা: রাজ্যে ফের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। এবার অভিযোগ কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগেই পথসভা চলার সময়ে ওই কংগ্রেস নেতাকে চায়ের দোকানে টেনে এনে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়ল বাজারে। সেখানে কংগ্রেসের একটি পথসভা ছিল। আর ওই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ রাকিব। অভিযোগ, তিন বছর আগে সরকারি মিনি পাম্প সেট পাইয়ে দেওযার নাম করে স্থানীয় এক ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ। সেই থেকেই এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর উপর চড়াও হয়। যদিও স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে।
জানা গিয়েছে তুলসীহাটার ওই পথসভায় মহম্মদ রাকিব রয়েছেন জানতে পেরেই ডাঙ্গিলা গ্রামের সাইনুল হক ও তাঁৎ স্ত্রী সেমো বিবি সেখানে চলে যান। আর এরপরই তাঁকে পথসভা চলাকালীনও পাশের একটি চায়ের দোকানে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সাইনুলদের বক্তব্য মহম্মদ রাকিব, তিন বছর আগে সরকারি মিনি পাম্প সেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। সাইনুল হক একটি চায়ের দোকান চালান। তাঁর দাবি, পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছিলেন রাকিবকে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও মেলেনি মিনি পাম্প সেট। এদিকে টাকা ফেরত চাইতে গেলেও বার বার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন মহম্মদ রাকিব। যদিও এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মহম্মদ রাকিব। স্থানীয় ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বও বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উল্টে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বিমান বিহারী বসাক বলছেন, “আমি এই বিষয়টি জানি না, তাই বলতে পারব না। তাঁর সঙ্গে কথা হোক, তারপর বলতে পারব। যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি আমি এখনও দেখিনি।”
তবে কংগ্রেস নেতাকে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তৃণমূলের রাজত্বে কংগ্রেস কর্মীকে মারবে না, এটা আবার হয় নাকি। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীরা এখন নিজেদের কবজিকে শক্ত করেছে। তৃণমূল আর কী ষড়যন্ত্র করবে, মানুষ ষড়যন্ত্রে যড়যন্ত্রে পাগল হয়ে গিয়েছে। গোটা রাজ্য ষড়যন্ত্রের শিকার।”
এদিকে তৃণমূলের মালদা জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান এই বিষয়ে বলেন,”শুনতে পেলাম পাম্প পাইয়ে দেওয়ার জন্য একজনের থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছিল এক কংগ্রেস নেতা। শেষ পর্যন্ত মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। এর আগে বরাবরই এখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। সেই সময় কংগ্রেস লাগামছাড়া দুর্নীতি করেছে। তার ফলস্বরূপ এই ঘটনা। কাটমানি নেওয়ার অভ্যেস এখনও যায়নি।”