Maldah: আর কবে হুঁশ ফিরবে হাসপাতালের? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোলেই মৃত্যু সদ্যোজাতর

Child Death: মোজাফ্ফর ও তাঁর পরিবার অ্যাম্বুলেন্সের টিকিট করাতে যান। অভিযোগ, হাসপাতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন সেখানে একজনও লোক নেই।

Maldah: আর কবে হুঁশ ফিরবে হাসপাতালের? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোলেই মৃত্যু সদ্যোজাতর
ফের শ্বাসকষ্টে প্রাণ গেল সদ্যোজাতর। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 12:54 PM

মালদহ: ফের শ্বাসকষ্টে প্রাণ গেল সদ্যোজাতর। জন্মের কিছু পরেই শুরু হয় শ্বাসের সমস্যা। এরপরই ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ে শিশুটি। থেমেও যায় ছোট্ট প্রাণ! মালদহের চাঁচলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে সার্বিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে। শিশুটির পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে। শিশুটির সমস্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় তাকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ভাউচার পেতেই প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা কেটে যায়। হাসপাতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রে কোনও লোক ছিল না ভর সন্ধ্যাতেও। কোলেই প্রাণ যায় শিশুটির।

হরিশচন্দ্রপুরের রারিয়াল গ্রামের মোজাফ্ফর আলির  স্ত্রী মাজেনুর বিবি বৃহস্পতিবার হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। বিকেলে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মাজেনুর। কিছুক্ষণ বাদেই ওই শিশুর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা পরও শারীরিক উন্নতি হয়নি বলে দাবি করে পরিবার। বরং তাদের দাবি, বাচ্চাটির অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বাচ্চাটিকে অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এখান থেকেই মূল গোলমালের সূত্রপাত।

মোজাফ্ফর ও তাঁর পরিবার অ্যাম্বুলেন্সের টিকিট করাতে যান। অভিযোগ, হাসপাতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন সেখানে একজনও লোক নেই। এ ভাবে প্রায় এক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কেউ আসেনি বলে অভিযোগ। এসবের মধ্যে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই ক্রমে গা ছেড়ে দেয় শিশুটি। একটা সময়ের পর তাকে আর বাঁচিয়েই রাখা গেল না।

মোজাফ্ফর আলি বলেন, “আমার বাচ্চা। ভাউচারের জন্য দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত বাচ্চাটা মরেই গেল। অনুসন্ধান কেন্দ্র থেকে ভাউচার না নিলে অ্যাম্বুলেন্স যাবে না। সে জন্য আমি দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে। ভাউচার যে দেবে, এখানে তো কোনও লোকই নেই। বহু চিৎকার করেছি দাদা দাদা করে! কেউ আসেনি। বাচ্চাটা আর নেই। শেষ হয়ে গেল। মারা গেল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটল। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সব কাগজপত্র নিয়ে দাঁড়িয়েই রইলাম। অ্যাম্বুলেন্সও পেলাম না। বাচ্চাটাকেও বাড়িতে ফেরাতে পারলাম না।” মোজাফ্ফর জানান, তিনি এই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। মৃত শিশুকে কোলে নিয়েই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মোজাফ্ফর আলি। যদিও এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Photo Gallery: দুর্গাপুজোয় বাড়ছে মেট্রো, সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীতে সময়সীমাতেও ছাড়

আরও পড়ুন: Jhargram Mini Zoo: তুমি যে এখানে কে তা জানত! খোঁজ মিলল ‘পলাতক’ চিতাবাঘের