Didir Doot: হঠাৎই মেয়েদের ক্লাসে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়ল ‘দিদির দূত’, তারপর যা হল…
Didir Doot: পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ঘর শক্ত করতে ইতিমধ্যে নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষা কবচ শুরু করেছে তৃণমূল।
মালদা: তখনও চলছিল ক্লাস। শিক্ষকদের কাছ থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়া শুনছেন পড়ুয়ারা। তখনই বাইরে থেকে উঠল স্লোগান। তৃণমূলের পতকা উড়িয়ে দিদির দূত-রা ঢুকলেন গার্লস স্কুলে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের এমন কাণ্ডে ততক্ষণ বন্ধ হয়েছে ক্লাস। এমনকী ব্যহত হল মিড-ডে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ঘর শক্ত করতে ইতিমধ্যে নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষা কবচ শুরু করেছে তৃণমূল। সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কি না তার খোঁজ নিতে এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। সেই রকমই শনিবার সকালে আচমকাই মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতিতে মোহনপাড়া নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলে পৌঁছন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য প্রতিমা সিং ও মালদা জেলাসভাপতি আবদুল রহিম বক্সী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
এরপর স্কুলে ঢুকে তাঁরা কথা বলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে। উপযুক্তরা ঠিক মতো কন্যাশ্রী-রূপশ্রী পাচ্ছে কি না তার খোঁজ নেয় তাঁরা। তবে অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীনই হঠাৎ করে স্কুলে পৌঁছন তাঁরা। স্লোগান দিতে-দিতে ক্লাসের ভিতরও ঢুকে পড়েন। পড়ুয়াদের এক তৃণমূল নেতা জানতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামও।
বিরোধীদের প্রশ্ন, স্কুল পরিদর্শনের আগে নোটিস দেওয়া হয়। তবে সেইরকম কোনও নোটিস না দিয়ে কীভাবে ঢুকলেন তৃণমূল ওই নেতারা। আর পরিদর্শন করার হলে দলবেধে কেন যাবেন সকলে? বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। কোনও রকম নোটিস না দিয়ে এইভাবে স্কুলে ঢোকা যায় না। আর যদি কর্মসূচি পালন করতে হত তাহলে দল বেধে যাওয়ার কী ছিল? জেলা পরিষদেরই চার-পাঁচজন যেতে পারতেন।”
অপরদিকে, আমতা-আমতা করে এক শিক্ষিকা জানালেন, “রোজ দিন তো হয় না। একদিনই। তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।” স্কুলের আর এক শিক্ষিকা বলেন, “ক্লাসে আমি ছিলাম। আমরা বুঝতেই পারিনি এত লোক এসেছে। শুনেছিলাম একটা ভিজিটিং দল আসবে। তবে এত মানুষ আসবে বুঝতে পারিনি।” যদিও, প্রধান শিক্ষিকা টিভি৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়াই দেননি।
যদিও, এই বিষয়ে প্রতিমা সিং বলেন, “দিদির দূত হিসাবে আমরা এখানে কাজ করছি। আমাদের শিডিউলে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হবে। তাই আমরা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে সমস্যা শুনলাম। এবং শিক্ষা দফতর থেকে পড়ুয়াদের জন্য যত প্রকল্প দেওয়া হয়েছে সেগুলি ঠিক মতো শিশুরা পাচ্ছে কি না তা জানতে চাইলাম।” অপরদিকে আবদুল রহিম বক্সি বলেন, “আমরা চাই শিক্ষার মান আরও উন্নত হোক। দিদি বলেছেন স্কুল পরিদর্শন করো। সরকারি সব সুবিধা প্রত্যেকে পাচ্ছে কি না তা জানতে চেয়েছি।”