Malda : বউ হল বৌদি, বিহারে পাত্রের খোঁজে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ মালদার কনেপক্ষের
Malda : বিহারের পাটনাতেও যায় মেয়ের বাড়ির লোক। খোঁজ খবর নেন পাত্রের ব্যাপারে। কিন্তু, সেখানে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের।
মালদা : বিহার থেকে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে মেয়ে পাচারের চেষ্টা। বুঝতে পেরেই থানায় অভিযোগ মেয়ের বাড়ির লোকের। পুলিশের তৎপরতায় শ্রীঘরে পাত্র। সূত্রের খবর, নিজের স্ত্রীকে বৌদির পরিচয় দিয়ে মেয়ের বাড়িতে আসেন প্রতারক ওই পাত্র। গ্রেফতার তাঁর স্ত্রীও। মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত তালশুর গ্রামের বাসিন্দা শোভা পাসওয়ান এবং সন্তোষ পাসওয়ান। নিত্য অভাবকে সঙ্গী করেই চলে শোভা-সন্তোষের সংসার। তাঁদের পরিবার সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে স্থানীয় পরিমল মহলদার তাঁদের এক পাত্রের খোঁজ দেয়। সে জানায় তাঁর আত্মীয়ের কাছে এক সুযোগ্য পাত্র আছে। তা নিয়ে কথাবার্তাও হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
সূত্রের খবর, এরপরই বিহারের পাটনা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে মেয়ে দেখতে আসেন উদল কুমার যাদব এবং কাঞ্চন দেবী। উদল কুমার যাদবের সঙ্গে হয় বিয়ের কথা। মেয়ে দেখতে এসে কাঞ্চন দেবীকে তাঁর বৌদি বলে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে বিহারের পাটনাতেও যায় মেয়ের বাড়ির লোক। কিন্তু, সেখানে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতেই হতবাক হয়ে যান তাঁরা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন উদল কুমার যাদব তাঁদের সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে। সে বিবাহিত। এমনকী যাকে বৌদি বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল সে আদপে উদলের স্ত্রী। মেয়ের বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হতে যাচ্ছেন। তাঁদের সন্দেহ হয়, তাঁদের অভাবের সুযোগ নিয়ে বাড়ির মেয়েকে বিয়ের নাম করে নিয়ে গিয়ে পাচার করে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছে। অভিযুক্তদের ফোনের কিছু কথোপকথনও কানে আসে তাঁদের। তবে সন্দেহ হলেও বিহারে গিয়ে তাঁরা চুপচাপই ছিলেন।
বিয়ের জন্য মালদায় ডাকা হয় উদল কুমার যাদবকে। বিয়ে করতে উদল হরিশ্চন্দ্রপুরে এলেই তৎক্ষণাৎ থানায় অভিযোগ জানান মেয়ের বাড়ির সদস্যরা। ওত পেতে বসেছিল পুলিশ। বর বেশে উদল আসতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করে। বৌদির পরিচয় নিয়ে আসা তার স্ত্রী কাঞ্চন দেবীকেও গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে পাত্রের খোঁজ দেওয়া স্থানীয় পরিমল মহালদার পলাতক। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ পাসওয়ান বলেন, “আমরা বিহারে খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটা বিবাহিত। এদিকে যখন মেয়ে দেখতে এসেছিল তখন নিজের বউকেই বৌদি বলে পরিচয় দিয়েছিল ছেলেটা। তবে বিহারে ঘটনার কথা জানতে পারার পর আমরা মুখ খুলিনি। কারণ আমরা জেনেছি এটা জানলে ওরা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। এরপরই আমরা গ্রামে ফিরে পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলেছিলাম।”