Recruitment Scam: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, দুর্নীতির অভিযোগ কন্যাশ্রী-মিড ডে মিলে! কাঠগড়ায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক

Recruitment Scam: গত কয়েকমাসে মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেকের নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে।

Recruitment Scam: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, দুর্নীতির অভিযোগ কন্যাশ্রী-মিড ডে মিলে! কাঠগড়ায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 7:17 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) উত্তাল বাংলা। ইতিমধ্যেই ইডি(ED) হেফাজতে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chatterjee)। এরমধ্যে এবার ১৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসায়। যা নিয়ে ফের তীব্র চাপানউচর তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলে। নাম জড়িয়ছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসার। অভিযোগ সামনে আসতেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা।  স্কুল চত্বরে বসেছে পুলিশ পিকেট। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। 

অভিযোগ, গত কয়েকমাসে  মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেকের নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। তবে শুধু ওই ছয় জন নয়, গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই এলাকার অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। এমনকী ভুয়ো নথির বিনিময়েও অনেকের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে কাটমানি নিয়ে বিবাহিত মহিলাদেরও কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রেও। যদিও সমস্ত অভিযোগের জন্য স্কুলের পরিচালন সমিতিকে কাঠগড়ায় উঠেছে স্কুলের পরিচালন সমিতি। কমিটির সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত ধরেই ক্রমেই দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে এই স্কুল। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২ জনেই। এদিকে এই স্কুলে পড়াশোনা করেন ১৮০০ পড়ুয়া। অভিযোগ সমস্ত পড়ুয়াদের থেকেই নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ফি।  

ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী বলেন, “মিড ডে মিলে দুর্নীতি আছে, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের জন্য ২০০-২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হলে কোনও তথ্যই দেওয়া হচ্ছে না। পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি, প্রধান শিক্ষকের মদতেই সবটা হচ্ছে।” আর বিক্ষব্ধ গ্রামবাসী মহম্মদ সইদুল্লা বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি সবাইকে অন্ধকারে রেখে কিছু ভুতুরে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। স্কুলের পরিচালন কমিটি করেছে। এদিকে ৬ বছর ধরে ভোট হয়নি। জোর করে কমিটি পুরনো কমিটি নিজের ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি এখানে জয়েন করেছি। যে নিয়োগগুলি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেগুলি আগের। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এলাকার বাসিন্দারা বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”