মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দলের নেতাই!

Maldah: সেতাবুর এলাকার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুথ প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দলের নেতাই!
নিহত তৃণমূল কর্মী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 2:50 PM

মালদা: মালদার (Maldah) চাঁচলে তৃণমূল নেতা (TMC Leader Murder Case) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দলেরই নেতাকে। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম কলিমউদ্দিন শেখ। তিনি চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী।

এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “দলে নিজের মতো করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। পুলিশও তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। দলও তাঁকে বহিষ্কার করবে। পুরনো শত্রুতা নাকি দলগত কোনও কারণে খুন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

শুক্রবার সকালে মালদার চাঁচলের চন্দ্রপাড়া এলাকায় সেতাবুর রহমান নামে এক তৃণমূল নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের তরফে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন সেতাবুর। বাড়ির লোকেদের দাবি অনুযায়ী, রাতে কয়েক জন এসে তাঁকে ডাকাডাকি করেন। বাইরে একটা জরুরি কাজ রয়েছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি ফেরেন না তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুজতে বের হন। মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়।

বিভিন্ন আত্মীয়দের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোনওভাবেই খোঁজ মেলে না। পরে থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরেই একটি এলাকায় সেতাবুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর সারা শরীরে গভীর ক্ষত। বাঁ হাতে খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছে মাংস। ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। তারপর দেহ সেখানেই ফেলে রাখা হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সেতাবুর এলাকার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুথ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

মৃতার দাদার অভিযোগ, “আমি বাড়ি ছিলাম না। বাড়িতে এসে শুনলাম আমার ভাইকে ওঁরা ডেকে নিয়ে গিয়েছে। জামালের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য। রাজনৈতিক কারণে জামালের সঙ্গে আমার ভাইয়ের ঝামেলা ছিল। যারা মেরেছে তারা হল খানপুর মণ্ডলপাড়া বুথের সদস্য। আমার ভাই খানপুর বাদুতোলা বুথের। তাদের কোনও ঝামেলা ছিল।”

পরিবারের তরফে অভিযোগ করার করা হয় এই কলিমউদ্দিনের পরিবারের দিকেই। তাঁর স্ত্রী মণ্ডলপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের সঙ্গেই সমস্যা ছিল সেতাবুরের। তাঁর দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি রয়েছে। বাঁ হাতে গভীর ক্ষত রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।

চাঁচল থানায় সেতাবুরের বাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের দায়িত্ব পালন নিয়ে আমি চিন্তিত’, আজকেই বিশ্বভারতী অবরোধ মুক্ত করার নির্দেশ আদালতের