Student Agitation: স্কুলের পরিকাঠামোর ‘বেহাল দশা’, প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষককে ঘরবন্দি করল পড়ুয়ারা

Habibpur: প্রধান শিক্ষককে ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে বিক্ষোভ ছাত্রদের। হবিবপুর সামু হেমরম উচ্চ বিদ্যালযয়ের পরিকাঠামো বেহাল অবস্থা বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছাত্রদের।

Student Agitation: স্কুলের পরিকাঠামোর ‘বেহাল দশা’, প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষককে ঘরবন্দি করল পড়ুয়ারা
স্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 5:51 PM

মালদহ:  স্কুলের ফি নেওয়া হয় মাসের পর মাস। কিন্তু বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর অবস্থা বেহাল। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হয়েছে। তবুও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালিয়ে লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালো পড়ুয়ারা। মালদহের হবিবপুরের সামি হেমরম উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার হয়েছে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা রাস্তা আটকেও অবরোধ করেছে।

প্রধান শিক্ষককে ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে বিক্ষোভ ছাত্রদের। হবিবপুর সামু হেমরম উচ্চ বিদ্যালযয়ের পরিকাঠামো বেহাল অবস্থা বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছাত্রদের। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, পরিকাঠামোর ব্যাপারে বার বার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাদের দাবি বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পানীয় জলের ব্যবস্থা বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থা রয়েছে। কিছুতেই তা ঠিক করা হয় না।  স্কুলের ভিতরে মিড ডে মিল খাওয়ার জায়গাও ঠিক নেই। বিক্ষোভরত ছাত্ররা বলেছেন, “আমরা নিয়মিত ফি দিই। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে এত টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর অবস্থা বেহাল। আমরা বার বার বলেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই যে আমাদের থেকে ফি-এর টাকা নিচ্ছে, সে টাকা কোথায় যাচ্ছে?” ফি-এর রসিদও দেখিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তবে প্রধানশিক্ষককে ধরবন্দি করেই শান্ত হয়নি স্কুল পড়ুয়ারা। রাস্তাও আটকে ছিলেন তাঁরা। যদিও কিছুক্ষণ পরই সেই অবরোধ উঠে যায়।

স্কুলের পরিকাঠামো মেরামতিতে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অর্নব কুমার সরকার। তিনি বলেছেন, “স্কুলে কোনও ম্যানেজিং কমিটি নেই। অনেক কিছু কাজ শুরু হয়েছে। জলের পাইপলাইনের কাজ চলছে। বিদ্যুতের কাজ চলছে। সব কাজ একেবারে হয়ে যাবে না। আস্তে আস্তে সব কাজ সম্পন্ন হবে। সময় লাগবে কা করতে। এর উপর সরকারি সাহায্য মেলেনি। স্কুলের তহবিল থেকে টাকা খরচ করে মেরামতির কাজ করা হচ্ছে।”