গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? বিডিও অফিসে ‘হামলা’, ১১ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ‘অপহরণ’!

TMC Clash: মঙ্গলবার সকালে, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিক্ষোভ হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? বিডিও অফিসে 'হামলা', ১১ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে 'অপহরণ'!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 2:56 PM

মালদা: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল। মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে হামলা ও পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধর ও অপহরণের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

মঙ্গলবার সকালে, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিক্ষোভ হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরাও। শাসক শিবির সূত্রে খবর,  তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন এক মাস আগে।

মঙ্গলবার, ওই ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য ব্লক অফিসে ডাকা হয়। সেখানে তাঁরা এসে উপস্থিত হলে আচমকাই ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের অনুগামীরা ঢুকে পড়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অফিসে ভাঙচুর চালানোর পর উপস্থিত ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক মারধর করার পর জোর করে টেনে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।অপহৃতদের মধ্যে একজন মহিলা সদস্যাও ছিলেন।

আচম্বিতে কিছু সময়ের মধ্যে এই ঘটনা ঘটায় হতচকিত হয়ে পড়েন তৃণমূলের (TMC) অন্য কর্মী-সমর্থকেরা। তারপরেই ব্লক অফিসের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। গোটা ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ অধিকর্তারা।

তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতটি শাসক শিবিরের অধীন। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান নানা বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যদের। প্রায় একমাস আগে, নজিবুরের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পিন্টু কুমার যাদব-সহ পঞ্চায়েতের অন্য়ান্য ১২ জন সদস্য। মঙ্গলবার, সেই অনাস্থা প্রস্তাবের স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য তাঁদের ডাকা হয়। তখনই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন মেটার পর, জেলায় জেলায় একাধিক পঞ্চায়েতে প্রধান বা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। দলের আগাম অনুমতি ছাড়া এইভাবে আর যখন তখন অনাস্থা পেশ করা যাবে না তা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এতদিন পর্যন্ত পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। তারপরেও কী করে এই অনাস্থা পেশ হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এ নিয়ে শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: ‘অর্জুন গড়ে’ তৃণমূল যুব সভাপতিকে ‘লক্ষ্য করে’ আচমকা গুলি!