‘আমার বিশেষ পরিচিত, ওকে চাকরি দিন,’ মন্ত্রীর সই জাল করে সরকারি দফতরে সুপারিশ যুবকের!
Sabina Yasmin: বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো অফিসার, ভুয়া টিকা, জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। ঠিক তখনই মন্ত্রীর সই জাল করে তাঁরই লেটারহেড ব্যবহার করে চাকরির জন্য সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ জেলায়।
মালদহ: রাজ্যের সেচ এবং উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের লেটার প্যাড ব্যবহার করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে! আর সোমবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল মন্ত্রী মহলে। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো অফিসার, ভুয়া টিকা, জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। ঠিক তখনই মন্ত্রীর সই জাল করে তাঁরই লেটারহেড ব্যবহার করে চাকরির জন্য সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ জেলায়।
মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের সেচ ও উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী। অভিযোগ, তাঁর বিধায়কের লেটারহেড ব্যবহার করে এবং হুবহু তাঁর মতো সই করে এক যুবক চাকরির সুপারিশ করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আবেদনকারীর নাম সুব্রত ঘোষ, বাবা দিলীপ ঘোষ, ঠিকানা জোট পরম চৌধুরী টোলা। পোস্ট- জোট পরম, থানা কালিয়াচক। সে আমার বিশেষ পরিচিত এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ। আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। সে বেকার এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাকে আপনার দফতরে সিকিউরিটি গার্ড, অপারেটর বা যেকোনও প্লান্টের কাজে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।” সেই আবেদনপত্রের নিচে রয়েছে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বাক্ষর এবং সীলমোহর।
এ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আকাশ থেকে পড়েন। সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এ ধরনের কোনও চিঠি তিনি দেননি। এই ধরনের ঘটনা কখনও তাঁর দল অনুমোদন করে না। এবং তিনিও এসবে প্রশ্রয় দেন না। সম্ভবত কেউ তাঁর বিধায়কের লেটারহেড জোগাড় করে সই জাল করেছে। সেটা আগামীতে তদন্তে জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রীর কথায়, “এর আগেও আমার সই জাল করে এই ধরনের বিভিন্ন কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। আমার মত হুবহু সই করে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি পুলিশে অভিযোগ করছি।” আরও পড়ুন: ‘পাশ করান’, শিক্ষকদের ক্লাসরুমে বন্দি করে ভাঙচুর পড়ুয়াদের!