TMC: নিজের বাড়িতে আলো জ্বালাতে দিনমজুর পরিবারের বাড়ি ভেঙে ট্রান্সফরমার বসালেন তৃণমূল নেতা!
TMC Leader: নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্যে দিনমজুর পরিবারের বাড়ি ভেঙে ট্রান্সফরমার (Transformer) বসালেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। বাধা দিতে গেলে পরিবারের মহিলাকে প্রায় বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
মালদহ: নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্যে দিনমজুর পরিবারের বাড়ি ভেঙে ট্রান্সফরমার (Transformer) বসালেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। বাধা দিতে গেলে পরিবারের মহিলাকে প্রায় বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই মহিলার শ্লীলতাহানিও করা হয়। শতচেষ্টা সত্ত্বেও বাড়ি বাঁচাতে পারেননি তিনি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়ির দেওয়াল। ভয়ে স্বামী স্ত্রী এখন ঘরছাড়া। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটিি ঘটেছে মালদহের (Maldah) ইংরেজবাজার এলাকায়।
অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সারফুদ্দিন সবজি ও তাঁর দলবল এসে আচমকাই এক দিনমজুর পরিবারের বাড়ি ভেঙে দেয়। বাধা দিতে গেলে জোটে লাঞ্ছনা। শুরু হয় মারধর। নিজের বাড়িতে ইলেকট্রিকের লাইনের জন্য ট্রান্সফরমার বসাতে হবে। তাই ভেঙে ফেলা হয় ওই দিনমমজুর পরিবারের বাড়ি। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা মালদহের ইংরেজবাজার থানার নিয়ামতপুরে। আতঙ্কে এখন গ্রামছাড়া হয়েছেন ওই দরিদ্র দিনমজুর দম্পতি।
এখানেই শেষ নয়। আতঙ্কিত দম্পতি মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও বিপত্তি। তাঁদের অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই আহত দম্পতির নাম সালিমা বিবি (৩৬)। এবং তাঁর স্বামীর নাম জুমরাতি সবজি। পেশায় দিনমজুর তাঁরা। অভিযুক্ত মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর নাম সারফুদ্দিন সবজি। গৃহবধূর অভিযোগ, তৃণমূল সদস্য সারিফুদ্দিন প্রচুর টাকা খরচ করে বাড়ি তৈরি করছে। ফলে ট্রান্সফার্মার জন্য বাড়ির নকশা নষ্ট হচ্ছে। তাই নতুন ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার বরাদ্দ হয়। সেইমতো সালিমা বিবির বাড়ির মুখে ওই ট্রান্সফরমনার বসানো হবে বলে মনস্থ করেন তৃণমূল নেতা।
কিন্তু এতে তো তাঁদের বাড়িটাই ভাঙা পড়বে! এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে ওইি মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেও বাধা দেন মহিলা। কিন্তু তাঁর কান্নাকাটি, আর্তনাদ কোনও কিছুর পরোয়া করা হয়নি। চোখের সামনে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বাড়ির দেওয়াল। শুধু তাই নয়, এর পর গত রাতের অন্ধকারে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও তার দলবল বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই দম্পতিকে বলে অভিযোগ। এমনকি বাড়িঘর ভাঙচুর ও মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে আতঙ্কে তাঁরা এখন ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, যে দলেরই সদস্য হোন, এমন ঘটনা কেউই সমর্থন করে না। আবার অভিযুক্ত নেতার কাছ থেকে দূরত্ব নিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিজেপির কটাক্ষ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, বিবস্ত্রকে মার, বাড়ি ভাঙচুর করা, এসবই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। আর মালদহ জেলাও তার অন্যথা নয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনায় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা তাঁর নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না বলে ট্রান্সফরমারে তালাা লাগিয়ে সারা এলাকাবাসীর ঘর অন্ধকার করে দিয়েছিলেন। মালদহের নৃশংসতা ছাপিয়ে গেল তাকেও।