TMC: দলের বিধায়ক প্রার্থীকে হারাতে টাকা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ, বিস্ফোরক অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের

TMC : মুর্শিদ নওয়াজের দাবি তাঁর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুরপথে চেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান। এমনকী তাঁকে ব্লক সভাপতি করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁর।

TMC: দলের বিধায়ক প্রার্থীকে হারাতে টাকা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ, বিস্ফোরক অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 9:54 PM

মুর্শিদাবাদ: নিজ দলের বিধায়ক পদপ্রার্থীকে ভোটে হারাতে যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা(Trinamool Leader) তথা সাংসদদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তোলপাড় জেলার রাজনৈতিক মহল। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান শেষ বিধানসভা নির্বাচনে রানীনগরের তৃণমূল(TMC) বিধায়ক সৌমিক হোসেনকে হারাতে ছক কষেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রানিনগর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মুর্শিদ নওয়াজ।

তাঁর দাবি তাঁর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুরপথে চেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান। এমনকী তাঁকে ব্লক সভাপতি করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে এতদিন পর কেন এদিন আচমকা তিনি এ বিষয়ে মুখ খুললেন তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদ নওয়াজ বলেন, “সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে আমার ভাই আমাকে আবু তাহের খানের কাছে পাঠায়। নীনগর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিবর্তন হবে। তারপরই আমি আমার বায়োডাটা জমা দিই। পরে ওনার ভাগ্নে তৈমুর খান আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর আমি ওর বাড়িতে যাই। সে আমাকে ৫০ লক্ষ পার্টি ফান্ডে দেওয়ার জন্য বলে। আমি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে সভাপতি হব না বলে চলে আসি। ২০২০ সালের অগস্ট মাস নাগাদ এই টাকা চাওয়া হয়েছিল।” 

মুর্শিদের দাবি, তাঁকে সরাসরি সেই সময়ের রানীনগরের তৃণমূলের বিধায়ক মুখ সৌমিক হোসেনকে হারাতে সিপিআইএম-কংগ্রেসের জোটের হয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আবু তাহের খানের ভাগ্নে। তাঁর এই চাঞ্চল্যকর দাবি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ প্রশঙ্গে আবু তাহের খান বলেন, “এসবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। সে সময়ের কথা বলছে সেটা ২০২০ সালের। সে আজ ২ বছর এলাকা ছাড়া ছিল। এসব কথার উত্তর দেওয়ার কোনও মানে হয়না। উত্তর দেওয়ার মতো এত ছোট মন আমাদের নেই। পুরোটাই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”