Student Missing: অঙ্কে ভয়, পরীক্ষা দিতে চায়নি… ২৮ ঘণ্টা পর স্কুল থেকে উদ্ধার ছাত্রীকে নিয়ে উঠে আসছে নানা তথ্য

Murshidabad: এদিকে সোমবারও ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, স্কুলের গাফিলতিতেই মেয়েকে এক রাত স্কুলের ঘরে থাকতে হয়েছে।

Student Missing: অঙ্কে ভয়, পরীক্ষা দিতে চায়নি... ২৮ ঘণ্টা পর স্কুল থেকে উদ্ধার ছাত্রীকে নিয়ে উঠে আসছে নানা তথ্য
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 5:54 PM

মুর্শিদাবাদ: ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় স্কুলে আটকে ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় স্কুলেরই একটি ক্লাসরুম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাস ঘিরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, শনিবার পরীক্ষাই দেয়নি ওই ছাত্রী। স্কুলের যে অ্যাটেনডেন্সের খাতা সেখানেও সে ‘অ্যাবসেন্ট’। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার স্কুল তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। তারপরও পাওয়া যায়নি। অঙ্ক পরীক্ষা সম্পর্কে ওই ছাত্রীর ভীতির কথাও বলেন তিনি। এদিকে সোমবারও ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, স্কুলের গাফিলতিতেই মেয়েকে এক রাত স্কুলের ঘরে থাকতে হয়েছে। মুর্শিদাবাদের লালবাগের একটি স্কুলের ওই ছাত্রী শনিবার থেকে স্কুলেই আটকে ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার তার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার পর বাড়ি ফেরেনি। রবিবার সন্ধ্যার পর উদ্ধার করা হয়। কয়েকজন রাজমিস্ত্রি তাকে দেখতে পায়। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা ঘোষ বলেন, “২ তারিখ পরীক্ষা ছিল। সেদিন অ্যাটেনডেন্সের যে খাতা তাতে ওই ছাত্রীর নাম ছিল না। তার মা পরীক্ষার শেষে এসে বললেন, মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও আমরা আবার স্কুল খুঁজে দেখলাম। সব ঘরই খোঁজা হয়। মা উপস্থিত ছিলেন। তিনিও দেখলেনও যে সব ঘর খোঁজা হল, পাওয়া গেল না। তারপর মা চলে গেলেন। মাকে বলা হল, যদি বাড়ি না ফেরে জানাবেন। ওনারা বিকেলে কিছু জানাননি। আমরাও ধরে নিয়েছি মেয়েটি বাড়ি ফিরে গিয়েছে। আমরা কিন্তু বাড়ি যাওয়ার আগেও খুঁজেছি সব ঘর। সব ফ্লোর। অথচ রবিবার তাকে স্কুলের রুমেই পাওয়া গিয়েছে বলে শুনলাম।”

প্রধান শিক্ষিকার দাবি, খবর পেয়েই থানায় জানান তিনি। নিজে হাসপাতালে যান। ছাত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। অজন্তাদেবীর কথায়, “ও বলছে ও বাড়ি যাবে না। বাবা মা বকেছে, মেরেছে। আমি বুঝিয়ে বললাম, বাবা মা বকতেই পারেন। এমন কেউ করে না। আমাকে অনেক কথাই বলল। অঙ্ক ভয় পায়। পরীক্ষা দিতে চায়নি। এবার ও স্কুলে এসে যদি অ্যাবসেন্ট থাকে। তা হলে কী করে বুঝব যে ও স্কুলে কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে।” এদিকে ওই ছাত্রীর বাবার কথায়, “মেয়ের মধ্যে একটা ভয় কাজ করেছে, পরীক্ষা দেয়নি। বাড়ি ফিরলে বাবা মা বকবে ভেবে ভয় পেয়েছে। সবই মানছি। কিন্তু স্কুলের গাফিলতি এড়ানো যায় না। ওনাদের কথায় ভরসা করে আমি সারারাত ফেলে রেখেছি মেয়েকে। পরদিন বলছেন তিন তলা খুঁজেই দেখেননি। ২৮ ঘণ্টা পরে আমার মেয়েকে পেলাম সেই স্কুল থেকেই। কাল না পেয়ে আজ পেলে জ্যান্ত পেতাম কি না জানি না।” যদিও স্কুলে দাবি, ঘরের ভিতর বড় ডায়াস ছিল। সেখানে ক্লাস নেন শিক্ষিকারা। তার নীচে ওই ছাত্রী লুকিয়ে থাকায় স্কুলের কারও নজরে আসেনি। তদন্ত করছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ।