Murshidabad: ‘সবাইকে আমাদের এখানে পাঠাচ্ছে, খুব চাপ’, একদিনে ৯ নবজাতকের মৃত্যুতে সাফাই হাসপাতালের
Murshidabad: প্রশ্নের মুখে পড়েছে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানের এসএনসিইউ ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। সূত্রের খবর, এই এসএনসিইউ ওয়ার্ড বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই সেখানে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
মুর্শিদাবাদ: ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে ৯ সদ্যোজাতের। তাতেই জোর শোরগোল মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য মহলে। জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশাপাশি প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও। সূত্রের খবর যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের সিংহভাগকেই জঙ্গিপুর থেকে রেফার করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রিন্সিপাল অমিত দাঁ-র দাবি, যে সময় শিশুগুলিকে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সে কারণেই তাদের আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানের এসএনসিইউ ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। সূত্রের খবর, এই এসএনসিইউ ওয়ার্ড বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই সেখানে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। ওয়ার্ডের বাইরে ঝুলছে ভর্তি বন্ধের নোটিশ। কিন্তু, খারাপ থাকলেও কেন তা সারানো হল না সেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে ফেলেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ।
মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের SNCU ওয়ার্ডে ৫৪টি বাচ্চার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে ১০০ জনের বেশি নবজাতক সেখানে ভর্তি রয়েছে। রোগীর চাপের কারণেই এই অবস্থা বলে তাঁদের দাবি। তারফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা আবার বল ঠেলছেন জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকেই। বলছেন, সেখানে SNCU ওয়ার্ডের সংস্কার হওয়ায় সমস্ত শিশুকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই রোগীর চাপ আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু, দোষ আদপে কার? মিলছে না উত্তর। শুধু জঙ্গিপুর নয়, ডোমকল সহ জেলার নানা প্রান্ত থেকেই বাচ্চাদের পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যালে। সেখানে ভর্তি থাকা নবজাতকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও বাড়ছে চিন্তা। চিন্তিত মুখেই একজন বললেন, “ডাক্তাররা বলছে আমাদের বাচ্চার রক্তে দোষ আছে। ওর অবস্থা ভাল নয়। খুবই অসুস্থ। আমাদের ডোমকল থেকে এখানে রেফার করেছে। অনেক তো বাচ্চাই তো মারা যাচ্ছে। তাই চিন্তা হচ্ছে।”