Jangipur Lok Sabha Constituency: জঙ্গিপুরে কি এবার ‘হাতবদল’ হবে? নাকি ফের ফুটবে ঘাসফুল?

Jangipur Lok Sabha Constituency: ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি জঙ্গিপুরের সাংসদ ছিলেন। ২০১৯ সালে প্রথম ঘাসফুলের দখলে আসে এই কেন্দ্র।

Jangipur Lok Sabha Constituency: জঙ্গিপুরে কি এবার 'হাতবদল' হবে? নাকি ফের ফুটবে ঘাসফুল?
৭ মে নিজেদের মত ব্যালট বাক্সে জানাবেন ভোটাররা
Follow Us:
| Updated on: May 06, 2024 | 9:39 PM

জঙ্গিপুর: কখনও বাম, কখনও কংগ্রেস- ঘুরেফিরে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র ‘হাতবদল’ হয়েছে এই দলের মধ্যে। ২০১৯ সালে প্রথম ঘাসফুলের দখলে আসে এই কেন্দ্রটি। বিজেপি এখনও পর্যন্ত সেভাবে কামড় বসাতে পারেনি প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু থাকা আসনটিতে। তবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপিই। এবার কি পালাবাদল হবে, না ফের ফুটবে ঘাসফুল। উত্তর জানার আগে দেখে নেওয়া যাক কার কত জমি আছে জঙ্গিপুরে।

জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ৭টি বিধানসভা। কেন্দ্রগুলি হল সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, লালগোলা, নবগ্রাম, খড়গ্রাম।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচন অনুযায়ী এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৬,১৪,০৮১। ২০১১ জনগণনা অনুযায়ী তফসিলি জাতি ভোটার ১৬.৩ শতাংশ। তফসিলি উপজাতি ভোটার ২ শতাংশ। সংখ্যালঘু ভোটার ৬৩.২ শতাংশ। গ্রামীণ ভোটার ৭৮.৫ শতাংশ। শহুরে ভোটার ২১.৫ শতাংশ।

এই খবরটিও পড়ুন

২০১৯ সাল পর্যন্ত জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র বাম ও কংগ্রেসের দখলেই ছিল। ১৯৬৭ সালে প্রথমবার এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। জয়ী হন কংগ্রেসের লুৎফল হক। ১৯৭২ সালের নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। ১৯৭৭ সালে বামেরা এই আসনে জয়লাভ করে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আসনটি বামেদের দখলে ছিল। এরপর ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস আসনটি পুনরুদ্ধার করে। তবে পাঁচ বছর পর আবার জয়ী হয় সিপিএম। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি জঙ্গিপুরের সাংসদ ছিলেন। ২০১২ সালে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন প্রণববাবু। এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আর এই আসনে উপনির্বাচনে প্রণববাবুর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে কংগ্রেস। উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেস প্রার্থী হন অভিজিৎবাবু। এবারও জেতেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রথমবার এই আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ২৪.৫ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩.৬ শতাংশ। সিপিএম ৭.৪ শতাংশ ও কংগ্রেস ১৯.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সাতটি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল। সুতিতে জেতেন ইমানি বিশ্বাস। রঘুনাথগঞ্জে জয়ী হন আখরুজাম্মান। সাগরদিঘিতে জয়ী হন সুব্রত সাহা। আলি মহম্মদ জয়ী হন লালগোলা আসনে। নবগ্রামে জেতেন কানাই চন্দ্র মণ্ডল। আর খড়গ্রামে জয়ী হন অসিত মারজিত।

তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয় ২০২৩ সালে। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস বিপুল ভোটে জয়ী হন। যদিও জেতার কিছু দিনের মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বায়রন।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মোর্তাজা হোসেন। বিজেপির হয়ে টিকিট পেয়েছেন ধনঞ্জয় ঘোষ। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন খালিলুর রহমান। ৭ মে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। শেষপর্যন্ত কে জিতবেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত। ওইদিন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।