Crime: ‘আমাদেরই সমর্থক ছিলেন’, তেহট্টে ধর্ষণ-কাণ্ডে আদিবাসী মহিলার বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা
Nadia: উত্তর জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া জেলা মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী তনুশ্রী বিশ্বাস-সহ পদ্ম কর্মীরা ওই মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গেও।
নদিয়া: আদিবাসী মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এ বার রাজনীতির রঙ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তেহট্টের নফরচন্দ্রপুরে জঙ্গল থেকে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ (Woman Assualt) করে খুন করা হয়েছে। শনিবার মৃতার বাড়িতে যান এলাকার বিজেপি কর্মীরা। কথা বলেন মৃতার পরিবারের সঙ্গেও।
এদিন, উত্তর জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া জেলা মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী তনুশ্রী বিশ্বাস-সহ পদ্ম কর্মীরা ওই মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গেও। জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের দাবি, মৃতা আদিবাসী মহিলা বিজেপিরই সমর্থক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। যদিও মৃতার পারিবার কোনও দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না তা স্পষ্ট নয়।
পাল্টা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব প্রধান বুড়ি বালা সর্দার বলেন, “খামোখা বিজেপি রাজনীতির রঙ লাগাতে এসেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। যদি বিজেপি কোনও রাজনৈতিক রঙ লাগায় তবে আমরা তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত মহিলার পরনের একমাত্র শাড়িটি গায়ে ছিল না। বরং সেটি দিয়েই গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছিল। কেউ আত্মহত্যা করলে কেন নিজের পরনের শাড়িটি গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করবেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মৃতার ছেলের অভিযোগ, তাঁর মাকে ধর্ষণ (Woman Assault) করে খুন করা হয়েছে। মৃতার ছেলের কথায়, ”আমার মা গতকাল সন্ধেয় আমাদের পাশেরই লালবাজার এলাকার ছেলে সৌম্যজিত্ নামে একজনের সঙ্গে কথা বলছিল। তারপর ওরা মাকে ডেকে পাঠায়। মা যায়। সেই যে গেল তারপর থেকে আর খোঁজ পাইনি। আজ সকালে এসে দেখি এইভাবে মায়ের বডিটা ঝুলছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মায়ের গায়ে শাড়ি ছিল না। শুধু ব্লাউজ আর সায়া। এইভাবে কি কেউ আত্মহত্যা করে! তখনই আমি সন্দেহ করেছিলাম। আমার মাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।”
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “মহিলা অস্বাভাবিকভাবে ঝুলছিল। পাড়ার বৌ কেন ওমন করবে! আর যদি করেই থাকে তাহলে কি তার পা মাটি ছুঁয়ে থাকবে! এমনটাও কি সম্ভব! এটা ধর্ষণেরই ঘটনা। চাই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও, মৃতার পরিবারের তরফ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নদিয়াতে রয়েছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। তেহট্টেও হিংসা তদন্তেই স্পট ভিজিট সেরেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির দায়ভার ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে তেহট্টেই ফের এই ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: DVC on Flood: ‘মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়’, প্লাবন-পরিস্থিতিতে মুখ খুলল ডিভিসি
আরও পড়ুন: Krishna Kalyani Resigns From BJP: দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী