Hanskhali Physical Assault Case: হাঁসখালিকাণ্ডে FIR কপিতে উল্লেখই হল না ‘গণধর্ষণের’ কথা, দায়ের হল কেবল ধর্ষণের অভিযোগ!
Hanskhali Physical Assault Case: সূত্রের খবর, জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। রবিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন দানা বাঁধছে।
নদিয়া: হাঁসখালির ‘গণধর্ষণ’কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত। তার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সে এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ছেলে। যে নেতা এলাকায় ডন বলে পরিচিত। গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার বাবা-মা। চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার চার দিন পর বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। রবিবার সকালে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। রবিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন দানা বাঁধছে।
FIR নিতে সময় নষ্ট কেন?
সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগপত্রে গণধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতার ছেলে ও তার সঙ্গীরা নাবালিকার ওপর যৌন অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগপত্রে লিখেছেন নির্যাতিতার মা। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে সে অর্থে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। পুলিশ এফআইআর-ই দায়ের করা হয়নি। ১০ তারিখ অর্থাৎ রবিবার এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
FIR কপিতে উল্লেখই হল না ‘গণধর্ষণ’-এর অভিযোগ
এফআইআর-এ আইপিসি ৩৭৬/৩ অর্থাৎ ১৭ বছরের কম বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণ করার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু এখানে গণধর্ষণের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। যদিও সঙ্গে প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্র অর্থাৎ আইপিসি ৩৪ যুক্ত করা হয়েছে। এবার প্রশ্ন কেবল শাসকদলের নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করলেই কি তদন্ত শেষ হবে?
এলাকার প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ?
নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে তার সঙ্গীরাও ছিল। তাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। দ্বিতীয় প্রমাণ লোপাটের বিষয়টিও উল্লেখ্য। নিশ্চয় কেবল মূল অভিযুক্তের নির্দেশেই প্রমাণ লোপাট হয়নি। সেক্ষেত্রে তার বাবা অর্থাৎ তৃণমূল নেতারও কোনও ভূমিকা ছিল? তার প্রভাবেই তড়িঘড়ি দেহ দাহ করা হয়, আর পরিবারের ওপর চাপ তৈরি করা হয়। না হলে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে দেহ দাহ করা সম্ভব? পুলিশ কী করবে? প্রশ্ন থাকছে তারও।
দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কল্লোল খাঁ বলেন, “আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় আছি। আমার পক্ষে এখনই সবটা বলা সম্ভব নয়। যদি ঘটনা সত্য, আইন আইনের পথে চলবে। ওখানকার সভাপতি রত্না ঘোষ করের কাছে গোটা বিষয়টির রিপোর্ট চেয়েছি। তাঁকে খোঁজ খবর করতে বলেছি। স্থানীয় ব্লক সভাপতিকেও খোঁজ নিতে বলেছি। অভিযোগ সত্য হলে দল তার ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। সবটা ওর ব্যাপারে জানি না।”
আরও পড়ুন: TMC Party Office: তৃণমূলের পার্টি অফিসে ‘মেয়ে নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর’, বিস্ফোরক দলেরই কাউন্সিলর