Poaching: শীতের আগেই সক্রিয় পরিযায়ী পাখি শিকারের চক্র, উদ্বিগ্ন পাখিপ্রেমীরা, ব্যবস্থার আশ্বাস প্রশাসনের

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চোরা পাখিশিকারিরা সাধারণত সন্ধ্যারাতে জাল বা ফাঁদ পেতে প্রস্তুতি নেয় পাখি ধরার জন্য। ভোরবেলায় জাল থেকে পাখিগুলি সংগ্রহ করে।

Poaching: শীতের আগেই সক্রিয় পরিযায়ী পাখি শিকারের চক্র, উদ্বিগ্ন পাখিপ্রেমীরা, ব্যবস্থার আশ্বাস প্রশাসনের
শিকারিদের জালে পাখি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2022 | 4:26 PM

তেহট্ট: শীত আসতে এখনও কিছুদিন বাকি। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি। পাখি আসতেই শুরু হয়েছে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন জায়গায় জাল পেতে ধরা হচ্ছে পরিযায়ী পাখি। শীতের শুরুতে তেহট্ট মহকুমার বিভিন্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়। এ সময় বেতাই চাপাগাড়া মাঠ-সহ মহকুমার বিভিন্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়। ওই সব এলাকায় জাল বিছিয়েছেন চোরাশিকারিরা। শিকারিদের পাতা জালে প্রত্যেকদিন ধরা পড়ছে শত শত পাখি। পরিযায়ী পাখিদের পাশাপাশি হাঁস, বক, চ্যাগা-সহ বিভিন্ন ধরনের পাখি ধরে গোপনে মাংসও বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে শিকারিদের বিরুদ্ধে। সেই সব পাখির মাংস বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখিপ্রেমীদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চোরা পাখিশিকারিরা সাধারণত সন্ধ্যারাতে জাল বা ফাঁদ পেতে প্রস্তুতি নেয় পাখি ধরার জন্য। ভোরবেলায় জাল থেকে পাখিগুলি সংগ্রহ করে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ক্রেতাদের কাছে সেই পাখিগুলো মাংস হিসাবে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। শীতের মাসগুলিতে এলাকার কিছু মানুষ পাখি শিকার করাটা জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বছরের অন্যান্য সময় যে যাই করুক না কেন, প্রত্যেক বছর শীতের কয়েক মাস মুষ্টিমেয় কয়েকজন পাখি শিকারি প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে পাখির শিকারের পরে বিক্রি করে মোটা টাকা মুনাফা লোটে। পরিবেশের কথা ভেবে অবিলম্বে এই কারবার বন্ধ হওয়া উচিত বলে দাবি পাখিপ্রেমীদের।

পাখিপ্রেমী প্রদীপ্ত দাস বলেছেন, “ইউরোপের উত্তরাংশে তথা মঙ্গোলিয়ার মতো দেশ থেকে হিমালয় পর্বত অতিক্রম করে প্রায় পাঁচ হাজার কিমি ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে পরিযায়ী পাখিরা আমাদের দেশে এসে পৌঁছয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তথা পাখি শিকারীরা নির্মমভাবে এই প্রাণী হত্যা করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্যকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছেন।” এলাকার সাধারণ মানুষ চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে ভবিষ্যতে পরিযায়ী পাখি-সহ বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি গুলি আর দেখা যাবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে তেহট্ট বনদফতরের আধিকারিক প্রদীপ কুমার ঘোষ বলেছেন, “ইতিমধ্যে মহকুমার বিভিন্ন জলাশয়ে চোরা শিকারিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মোবাইলের দৌলতে বনদপ্তরের আধিকারিকদের দেখতে পেয়ে টহলরত চোরাশিকারীরা ফোনের মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। তখনই তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই এই সমস্ত চোরা শিকারিরা ধরা পড়বে এবং আইন মোতাবেক তাদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”এদিনই আবার বন দফতরের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে যান। বেশ কিছু জাল উদ্ধারের পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন করেন বনকর্মীরা।